নিউজ ডেস্ক:চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের কয়েকজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১২ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যবসায়ী। মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়াকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে মামলার বাদী একজন মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ সূত্রে জানায়। গতকাল রোববার (০৯ জুন) মেহেরপুর আদালতে এ মামলার শুনানি শেষে আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুজ্জামান।এসআই মকবুল হোসেন, এসআই মোস্তাক আহম্মেদ, এএসআই গোপাল চন্দ্র ও এনামুল হক, কনস্টেবল পান্না শিকদার, করমদি গ্রামের আনারুল মেকার ও তার ছেলে শরিফুল এবং শরিফুলের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন, একই গ্রামের মাগরেব আলী, টিপু সুলতান, সাহারুল ইসলাম এবং আবেদ আলীকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের স্যালোমেশিন পার্টস বিক্রেতা আব্দুল হান্নান পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার পূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে মামলাটি দায়ের করেন।এ মামলার বাদী ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান জানান, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়ার অপরাধে তৎকালীন বামুন্দী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মকবুল হোসেন, এসআই মুস্তাক, এএসআই গোপাল চন্দ্র, এএসআই এনামুল, কনস্টেবল পান্না শিকদারসহ স্থানীয় ১২ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং সিআর ২০৭/১৯। ধারা,৩৮৫,৮৬,৮৭, ৩৪,১৬১, ৫০৬, ১১৪। মেহেরপুর আদালতের বিচারক শাহিন রেজা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধমে সত্য ঘটনা বের করা হবে।’ মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, ‘মামলা দায়েরের বিষয়টি আমি শুনেছি।’ মামলার বাদীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসের পর সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় মাদকের তিনটি মামলা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হোক এটা আমরাও চাই।’উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ভোররাতে গাংনী উপজেলার করমদি খুশির বিল কবরস্থানের পাশ থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শূটারগান, চার কেজি গাঁজাসহ আব্দুল হান্নানকে আটক করে পুলিশ। সেসময় ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছিল হান্নানের পরিবার।