কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার জেরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশ টহল না থাকায় এখনো পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটছে। মানুষের ডাকাত আতঙ্ক কাটছে না। থানার কার্যক্রমও চলছে ঢিমেতালে।
তবে সেনাবাহিনী দেশের সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আমরা কয়েক দিন হলো কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। আমাদের তিন থেকে চারজন পুলিশ সদস্য অসুস্থ রয়েছেন। বাকি সব সদস্য থানায় যোগদান করেছেন। তবে থানার ভেতরের পরিস্থিতি এখনো ঠিক করা সম্ভব হয়নি। আমাদের একটি ফ্যামিলি কোয়ার্টার রয়েছে। সেই কোয়ার্টারে বসে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ’
টহল দেওয়া শুরু হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কিছু টহল দিচ্ছি। ’
যাত্রাবাড়ী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। তবে কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের সব সদস্যই থানায় যোগদান করেছে। তবে থানার ভেতরের পরিস্থিতি এখনো ঠিক করা সম্ভব হয়নি। তাই আমরা ডেমরা থানায় আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ’
টহল দেওয়া শুরু হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টহল আমরা সেভাবে করতে পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুত টহল শুরু করতে পারি। ’
এদিকে আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফিরে আসায় আবারও দেশের সব থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেড়েছে ট্রাফিক পুলিশ। থানা থেকে লুট হওয়া ৭১৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮,৫১২ রাউন্ড গুলি, ১,১১৮টি টিয়ার শেল ও ১৭০টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি তেমন বাড়েনি। রাতের ঢাকায় ডাকাত আতঙ্কের পাশাপাশি ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে তেমন তৎপরতা নেই। দেশে এখনো নাশকতার পাশাপাশি প্রতিদিন খুনের ঘটনা ঘটছে। চলছে ভাঙচুর ও দখলবাজি। পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।