মেহেরপুরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে স্কুলছাত্রকে মারধরের ঘটনা : আটক কর্মিকে ছিনিয়ে নিতে
৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক মামলা : জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৪ নেতা কারাগারে
নিউজ ডেস্ক: মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধনসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম খান, পুলিশ লাইনের কনস্টেবল রনি (২৬) ও মেহেরপুর শহরের ভূমি অফিসপাড়ার স্কুলছাত্র সুরুজ আলী (১৫)। সদর থানার ওসিকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পুলিশ লাইনের কনস্টেবল রনি ও স্কুলছাত্র সুরুজকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন (২৭), ছাত্রলীগ কর্মি ইব্রাহীম (১৭), শিশির (১৮) ও আশিক (১৬)। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে ইব্রাহীম হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মি ভূমি অফিসপাড়ার স্কুলছাত্র সুরুজ আলীকে মারধর করছিলো। এসময় পুলিশ সদস্যরা মারধর থামাতে ছাত্রলীগ কর্মি ইব্রাহীম হোসেনকে আটক করলে স্টেডিয়ামে মাঠে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগ কর্মি ইব্রাহীমকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। ওসিকে ধাক্কা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ছাত্রলীগের চারজনকে আটক করা হয়। আহত পুলিশ কনস্টেবলকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এদিকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল সালাম বাঁধনসহ ছাত্রলীগের ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর থানায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশ নির্যাতন অপরাধে মামলা দায়েরর পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। মেহেরপুর সদর থানার এসআই আব্দুল আলিম বাদি হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অর্ধশতাধিক আসামি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
মামলায় এস আই রফিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলায় আব্দুস সালাম বাঁধন, ইব্রাহীম, শিশির, আশিককে আটক দেখানো হয়েছে। বাকি নামীয় চার আসামি পলাতক রয়েছে। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রবিবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আটক ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।