চুয়াডাঙ্গার হাসনহাটি থেকে দাফনের ৪৯ দিন পর লাশ উত্তোলন
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদরের হাসনহাটি থেকে দাফনের ৪৯ দিন পর উত্তোলন করা হেদায়েত আলীর লাশ পুনঃ ময়নাতদন্ত শেষে আবারও দাফন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তাঁর পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে গিয়ে একই স্থানে আবারও দাফন করেন। এর আগে গত বুধবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদের উপস্থিতিতে হেদায়েত আলীর গলিত লাশ উত্তোলন করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির মেজো ছেলে আক্তার হোসেনের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজেদুর রহমান জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
মূলত হেদায়েত আলীর মৃত্যু প্রতিপক্ষের হাতে হয়েছে বলে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত করলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়। মামলার বাদী আক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম খাইরুল আলম, ময়নাতদন্তকারী দুজন ডাক্তার মো. আবুল হোসেন ও মো. শামীম কবির একত্রে আমার পিতার হত্যাকারীদের সঙ্গে হাতমিলিয়ে মিথ্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। আদালত থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলে দেখতে পাই, রিপোর্টে প্রকৃত সত্য গোপণ করা হয়েছে। তাঁরা দুর্নীতি করে আদালতে সঠিক রিপোর্ট দেননি। এ কারণে পুনঃ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করি।’
উল্লেখ্য, নিহত হেদায়েত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসনহাটি গ্রামের মৃত পুটি ম-লের ছেলে। গত ১৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ববিরোধের জেরে তুচ্ছ ঘটনা থেকে সৃষ্ট গোলযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে হাসনহাটি গ্রামের কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।