নিউজ ডেস্ক:
সদিচ্ছা থাকলে যে শারীরিক অক্ষমতা কোনো প্রতিবন্ধকতা নয় তা প্রমাণ করেছেন ইসাইয়া। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা ৯ বছর বয়সি ইসাইয়া বার্ড জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। তার দুটো পা নেই। কিন্তু রেসলিংয়ে তিনি রীতিমতো চ্যাম্পিয়ন! পাঁচ বছর ধরে সে লং বিচ গ্ল্যাডিয়েটরস রেসলিং দলের সঙ্গে যুক্ত। বয়সভিত্তিক গ্রুপে ইসাইয়া স্টেট রেসলিং চ্যাম্পিয়ন।
ফুটবল, রান ট্র্যাক , সাঁতার , সার্ফিং এবং স্কেটবোর্ড- ইসাইয়া সব সময় চেষ্টা করেছে এই খেলাগুলো খেলতে। কিন্তু তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। সে সফল হয়েছে রেসলিংয়ে। ইসাইয়া সবকিছুর কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ মিগুয়েল রদ্রিগেজকে। কোচ তাকে নিজের সাথে, প্রতিকূল পরিবেশের সাথে এবং প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। একটি সংবাদমাধ্যমে ইসাইয়া বলেন, ‘কোনো অজুহাত নয়। আমি জানি আমি পারব।’
কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থাতেই ইসাইয়া মিগুয়েল রদ্রিগেজের কাছে রেসলিং প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করে। রদ্রিগেজ জানান, সে দেশের লোকজনের কাছ থেকে যে ই-মেইল , ভিডিও এবং ফোন কল পেয়েছে তা তাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে। এই বিষয়গুলো থেকেই ইসাইয়া তার হারানো উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা ফিরে পেয়েছে।
রদ্রিগেজ বলেন, ‘সে আসলে করে দেখিয়েছে। আমার মনে হয়, জীবনের প্রতি আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু নিজেরাই জানি না জীবনকে কত সহজ করে তোলা যায়। জীবন সবার সাথে সমান বিচার করে না। তাই ইসাইয়া তা নিয়ে কখনো অভিযোগ করে সময় নষ্ট করেনি।
ইউএফসি ভারোত্তলন বিজয়ী ক্রিস ওয়েডম্যান ইসাইয়ার সাফল্যে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে ওয়েডম্যান বলেন ‘সে ছয় বছর বয়স থেকেই খুব অনুপ্রেরণাদায়ক হয়ে ওঠে। যে বয়সে আপনি হয়তো ঠিক ঠাক কথা বলা শুরু করেননি এবং আপনি হয়ত ঠিক জানেন না যে, আপনার লক্ষ্য কী বা ভবিষ্যতে ঠিক কী করবেন- অথচ সেই বয়সে এই বালক অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল।’
ইসাইয়ার এই সাফল্য সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হয় চীনের সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট -ওয়েইবোতে। ব্যবহারকারীরা এই ছোট্ট যোদ্ধার প্রশংসা করে নানা মন্তব্য করেন। একজনের কমেন্টস ছিল এরকম, ‘সে আমাকে দঙ্গল সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। ইসাইয়া এবং দঙ্গল দুটোই অনুপ্রেরণামূলক।’
আর একজনের কমেন্টস ছিল, পা ছাড়াই সে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সে একজন খাঁটি যোদ্ধা।