1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আল ইয়াকিনের উপর ক্ষুদ্ধ | Nilkontho
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বুধবার | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লেফট্যানেন্ট নির্জন শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত, বুধবার খুলবে সব কারখানা দীঘিনালায় তিন পর্যটককে অপহরণ পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের, সেনা অভিযানে উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে গেল তিন প্রাণ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক না হওয়ার কারণ জানালো নয়াদিল্লি ভারতে পাচারকালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশিকে নেপাল থেকে উদ্ধার বীরগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বীরগঞ্জে বসতবাড়িতে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন কৌশল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বিরল সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফ সদস্য আটক জেনারেল আজিজের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত তৌহিদ-জয়শঙ্কর যারা গায়েবি মামলা করেছিলেন এবার তাদের চিহ্নিত করতে রিট পলিথিন ব্যাগ ১ নভেম্বর থেকে নিষিদ্ধ চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চুয়াডাঙ্গায় ‘তারুণ্যের গান ও নাশিদ সন্ধ্যা’ আজ ডুগডুগি পশুহাটের দিন সড়কে তীব্র যানজট, জনভোগান্তি চরমে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা এসপি সম্মাননা জানালেন বদলির আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আল ইয়াকিনের উপর ক্ষুদ্ধ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জিয়াবুল হক , টেকনাফ : সীমান্তবর্তীদেশ মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে সরকারী বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর লাগাতার জুলুম-নির্যাতনের জন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র বাহিনীকে দায়ী করছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা। আরসা রোহিঙ্গাদের কাছে হারাকাহ্ আল ইয়াকিন নামে বেশি পরিচিত। আরসা বা আল ইয়াকিন যাই হোক এ সংগঠনের কর্মকান্ডের প্রতি যথেষ্ট সন্দিহান রয়েছে রোহিঙ্গাদের। সংগঠনটি রোহিঙ্গাদের মধ্যে এমন আস্থাহীন হয়ে পড়েছে যে, রোহিঙ্গাদের বসত-বাড়ি, জমি জমাসহ এই পরিণতির জন্য মুলত আল ইয়াকিন (আরসা) কে দায়ী করছেন।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমার আরকান রাজ্যে ২৪ টি সেনা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আল ইয়াকিন (আরসা)’র হামলার পূর্ব পর্যন্ত তারা অনেকটা নিরাপদে ছিলেন। এই সস্ত্রাসী বাহিনীর হামলার পরপরই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাখাইনরা মিলে মুসলমানদের উপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। একের পর এক মুসলমানদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষন ও শিশুদের হত্যার মতো জঘন্যতম বর্বরতায় মেতে ওঠেন। তাদের বর্বরতায় প্রাণ ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশের দুই সীমান্ত উপজেলায় আশ্রয় নিতে পালিয়ে এসছেন প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ( সাধরণের ধারণা)।
বেশ কিছু আরকান রাজ্যের রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারের আল ইয়াকিন (আরসা) তাদের আশ্বস্থ করেছিল এই বলে যে, তারা আরাকানের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে আল ইয়াকিন (আরসা) নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কোন কর্মসূচি না দিয়ে শুরুতেই সরকার বিরোধী সন্ত্রাসী পথ বেছে নেন, যাতে কিনা সাধারণ রোহিঙ্গাদের সমর্থন ছিলনা। রোহিঙ্গারা বরাবরই বুঝতেন যে, রাতারাতি গুটি কয়েক আল ইয়াকিন (আরসা) সদস্যদের চাপাচাপিতে আরকান রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বতো দূরেই, ঠিকে থাকাও দূরহ হয়ে পড়বে। ঠিক তেমনটি ঘটেছে আরাকানে।
মংডুর শহরের নয়াপাড়া এলাকা থেকে আসা মৌলভী রেয়াজু বাবা মাসহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছেন নাফনদী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফে। মংডু শহরে তাদের বাড়ি এতোদিন সেদেশের সরকারি বাহিনীর সাথে কোন ঝামেলা ছাড়া নিরাপদে ছিলেন। কিন্তু আল ইয়াকিন (আরসা) গত ২৪ আগস্টের ঘটনার পর থেকে মোটামুটি শান্ত আরাকান রোহিঙ্গাদের জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হবে এমন আশায় ওপারেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্বরতা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে রেয়াজুর পরিবার আর ঠিকতে পারেনি। তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে পাড়ি দিয়েছিলেন নতুন করে বাচাঁর জন্য বাংলাদেশে। তিনি আরো বলেন, আমি আল ইয়াকিন বা আরসা’র দ্বারা সংঘঠিত কাজটি মোটেও সমর্থন করিনা। পবিত্র কুরবানির ঈদের আগে কি দরকার ছিলো পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ? তারা কি রাতারাতি আরাকান আজাদ করতে চেয়েছিলেন ? আর তা যদি হয়, তাহলে মিয়ানমার স্বশস্ত্র বাহিনী যখন আমাদের মতো সাধারণ লোকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে, হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়ি বাড়ি আগুন দেয়ার মতো কাজ করছিল তখন আরসা বলুন আর আল ইয়াকিন বলুন তারা কোথায় ছিলেন ?
মিয়ানমার বলিবাজার থেকে আসা ফাতেমা বলেন, “আল ইয়াকিন বা আরসার নেতারা শুধু হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও মেসেঞ্জারে ভিডিও বার্তা প্রচার করে আরাকানের যুবকদের জিহাদ করতে উস্কিয়ে দিয়েছেন। সংগঠনটির কোন নেতা আমাদের কাছে পরিচিতও নয়। ওদের কাউকে এলাকায়ও আসতেও দেখেনি কেউ। শুধু পাহাড়ি ঝোঁপঝাড় থেকে কয়েকটি অস্ত্র হাতে নিয়ে ভিডিওতে জিহাদ করতে বলেছেন।” ফাতেমা আরো বলেন, “রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠনের নেতা পরিচয় দানকারী আতা উল্লাহ ভিডিওতে জিহাদের ডাক দিয়ে বলেছেন রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমারের বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হলে হাজার হাজার প্রশিক্ষণ নেয়া আল ইয়াকিন সদস্য অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ করবেন, আরাকান রাজ্য স্বাধীন করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। সরকারি বাহিনী গ্রামের পর গ্রাম ছাঁই করে গেছে তবু আল ইয়াকিন বা আরসা’র কোন সদস্যকে কোন গ্রামেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আসতে দেখেনি রোহিঙ্গারা।”
মংডুর ডেইল পাড়া থেকে আসা মনিরুল্লাহ বলেন,“আরসা বা আল ইয়াকিন কে আরাকানের মুসলমানদের কল্যাণকামী সংগঠন বলে মনে হয়না। তাদের অসংগঠিত ও অপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কান্ডের খেসারত দিতে হয়েছে লাখ লাখ নিরপরাধ রোহিঙ্গাকে। আল ইয়াকিন বা আরসা এ ঘটনাটি না ঘটালে মিয়ানমার সরকার আপাতত রোহিঙ্গাদের উপর এতো পাশবিক নির্যাতনের পথ বেছে নিতো না বলেও ধারণা মনিরুল্লাহর। তার মতে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের এই দূরাবাস্থা শুধু আল ইয়াকিন (আরসা)’র কারণে হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “ওপারে অনেক রোহিঙ্গাদের বড় বড় অট্টালিকা, ব্যবসা বাণিজ্য, জমি জমা সবকিছুই ছিলো। কিন্তু আল ইয়াকিন (আরসা)’র ভুলের কারণে হোক বা তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে হোক, আরাকানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব শেষ হয়েছে মুলত আল ইয়াকিন (আরসা)’র কারণে। সরকারের নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়াতো দূরের কথা উল্টো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে রোহিঙ্গাদের।
আরেক রোহিঙ্গা একটি পরিবারের ৬ জন আসা তারা বলেন, মিয়ানমার সরকার কতটা বর্বরতা তা সবাই জানে, তাই পুরো প্রস্তুতি ছাড়া সরকারের একটি বৃহত্তর বাহিনীর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা মাতলামি ছাড়া কিছুই না। আমার মতে, আরসা নেতা আতা উল্লাহ নিজের ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজটি করেছিলেন। তা না হলে, যখন সরকারি বাহিনী হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্বিচারে হত্যা করছে তখনও আল ইয়াকিন (আরসা) নামক সংগঠনটি পাহাড়ে লুকিয়ে খেলা দেখছিল।”
গদুছড়া থেকে পালিয়ে আসা আরেক যুবক সাঈফ বলেন, আল ইয়াকিন (আরসা) আমাদের শুধু যুদ্ধ করতে বলেছে কিন্তু তারা আমাদের সামনেও আসেনি, যুদ্ধের কোন রণকৌশলও শেখাননি। আমাদের তারা শুধু খালি হাতে তাদের সঙ্গ দিতে বলেছিল তাও ভিডিও প্রচার করে। আমাদের হাতে দা, চুরি, লাঠি ছাড়া কিছুই ছিলোনা। আমরা প্রথমে নিরব ছিলাম , যখন রাখাইনরা সরকারি বাহিনীর সাথে মিলে আমাদের উপর হামলা করলো তখন আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তাদের ভারি অস্ত্রের সামনে আমরা নিরুপায়। বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ছাড়া আমাদের সামনে কোন উপায় ছিলোনা।” তিনি আরো বলেন, “আরসার নেতারা কারো কারো হাতে নাকি বোমা বলে কালো পলিথিনে মোড়ানো মাটির বুনট পৌঁছিয়েছিলো। এগুলো পাঠিয়ে তারা বলেছিলো,‘এগুলো বোমা, ছুড়ার সাথে সাথে সব কিছু জ্বলে ছাঁই হয়ে যাবে’। যখন আল ইয়াকিন (আরসা)’য় আশ্বস্ত গুটি কয়ে রোহিঙ্গা যুবক হাতে থাকা এসব বোমা সদৃশ বস্তুগুলো নিক্ষেপ করে, তখন দেখা গেলো পলিথিন ছিড়ে মাটি ছাড়া কিছুই বেরোইনি। এই যুবকের মতে, আল ইয়াকিন (আরসা) মুলতঃ রোহিঙ্গাদের সাথে চরম বেঈমানি করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের মুক্তির কথা বলে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা ধান্ধা করার ফন্দি করেছিল।”
মিয়ানমারে সহিংসতার পর এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক ও পুরুষদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তারা কেউ আরসা বা আল ইয়াকিনের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেননা। তারা শুধু এটুকু বলতে পারেন যে, আল ইয়াকিন ( আরসা) নামে একটি সংগঠন আছে যেটি রোহিঙ্গাদের মুক্তির কথা বলেছিলেন। রোহিঙ্গারা জানতেন না যে আল ইয়াকিন ( আরাসা)’র রোহিঙ্গা মুক্তির মিশন যে রোহিঙ্গা নিধনের মিশনে পরিণত হবে।
রোহিঙ্গারা এখন আল ইয়াকিন (আরসা) তে মোটেও আস্থা রাখছেননা বরং এ সংগঠনের সদস্যদের খোঁজ পেলে খতম করে দেবেন বলেও কেউ কেউ ক্ষোভ দেখিয়েছেন এই বলে যে, আল ইয়াকিন (আরসা) রোহিঙ্গাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন।
এপারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রশ্ন ; আরসা কি বাস্তবেই রোহিঙ্গাদের মুক্তি চেয়েছেন নাকি তারা মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা নিধন পরিকল্পনার অসমাপ্ত কাজটি সমাপ্ত করেছেন ?

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:০৬
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪১
  • ১২:০১
  • ৪:২১
  • ৬:০৬
  • ৭:২০
  • ৫:৫২

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০