ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর টবি ক্যাডম্যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
ক্যাডম্যান ড. ইউনূসকে জানান, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে নির্বিচারে গুলি করেছে তা সরাসরি গণহত্যা। বিপ্লবের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানান তিনি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য দেশীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পরামর্শ দেন তিনি।
ক্যাডম্যান বলেন, বাংলাদেশকে দ্রুত সত্য, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা যথাযথভাবে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন পাবে এবং বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করার সময় ক্যাডম্যান জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণের জন্য একটি কাঠামো তৈরির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করতে প্রস্তুত তারা। যারা অসদুপায়ে অর্জিত সম্পদ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাদের ফেরাতেও সহযোগিতা করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার প্রস্তাব শুনেন এবং তাকে লিখিতভাবে তা দাখিল করতে বলেন। তিনি জানান, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের সময় যারা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ও পরিচালনা করেছিল, তাদের আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারের ব্যাপারে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।