নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের গড়াইটুপি ও বিত্তিরদাড়ির ওপর দিয়ে প্রাবাহিত কামরিয়া পাকশিয়া খালের দুই পাশের গাছ কেটে আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সরোজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুজ্জামান রাজুসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, খাল ও গাছ রক্ষায় ২১ সদস্যবিশিষ্ট কামরিয়া পাকশিয়া নামের একটি সমবায় সমিতি আছে, যার সভাপতি শফিকুজ্জামান রাজু। গত সোমবার রাজুসহ সমিতির কয়েকজন মিলে খালের পাশের এক লক্ষাধিক টাকার অধিক মূল্যের কয়েকটি গাছ কেটে অনুমতি ব্যতিত সরকারি মার্কিং মুছে দিয়ে তেঘরী গ্রামের বিভিন্ন জায়গাতে রাখেন। পরে বিক্রি করে দেন তেঘরী গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী খগেন কর্মকারের কাছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করে জানতে পারেন, অবৈধভাবে গাছ কাটা হয়েছে এবং রাতে যেন গাছগুলো সরিয়ে নিতে না পারেন কেউ, এ জন্য গ্রামপুলিশ দ্বারা পাহারার ব্যবস্থা করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগ জানতে পারার পর চুয়াডাঙ্গা রেঞ্জের কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে এসে গাছ কাটার সত্যতা পান। এ সময় তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সবগুলো গাছ জব্দ করেন।
এ বিষয়ে বন বিভাগের চুয়াডাঙ্গা রেঞ্জের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘গাছগুলো আমরা জব্দ করেছি। এগুলো আগামী ডিসেম্বরে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে এবং যারা এই গাছ আত্মসাতের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।’
এ বিষয়ে কামরিয়া পাকশিয়া সমবায় সমিতির সভাপতি রাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতির অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় আমরা সমিতি পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছি। বর্তমানে গাছগুলোকে মার্কিং এবং অন্যান্য কাজের জন্য টাকার দরকার, তাই এই টাকার ব্যবস্থা করার জন্যই আমরা কয়েকটা গাছ কেটে গাছগুলো বিক্রি করেছি।’ ভুল স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘এসব করা আমাদের অবশ্যই ভুল হয়েছে।’ বর্তমানে জব্দ করা ৮৪ সেপ্টি গাছ তেঘরী গ্রামের জাকির হোসেন মেম্বারের জিম্মায় রেখে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগ।