জেলা প্রতিনিধিঃ বায়েজীদ (পলাশবাড়ী) –
অবৈধভাবে একাধিক স্যালোমেশিন দিয়ে বালু তোলার ফলে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা
কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সগুণা খত্রিয়পাড়া মন্দির পিছনে সগুণা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়া রাস্তা
অনেক আগেই ধসে গেছে । প্রায় ২০ বিঘা জমি বালু খেকো দের পেটে যাওয়ায় উক্ত এলাকার আশপাশে
আবাদী জমি দেবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ।
যেখানে পালন করা হয়েছে বালু উত্তোলন উৎসব । ভাঙ্গন পূরীতে পরিণত হয়েছে আবাদী জমি ও
একমাত্র বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,উপজেলার বিভিন্ন নেতানেত্রীর পরিচয় ও ক্ষমতার দাপট
আর গণমাধ্যমকর্মীদের মাসোহার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের বিশেষ ভাবে ম্যানেজ করে চলে এই
অবৈধ কার্যক্রম। বালু উত্তোলনের ফলে শুধু জমিতেই ধস নয় সগুণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
যাওয়ার রাস্তাটি দুই পাশে অবসৃষ্ট অংশ থাকলেও মাঝখানে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া নদী পাড় গুলো ভংঙ্কর আকারে ভেঙ্গে যাচ্ছে। না দেখে ভুমি অফিস না দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের দোহাই দিয়ে একটি চক্র কয়েক মাস হলো দুটি স্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাযোজ্ঞ চলমান রেখেছেন।
তারা আরো জানান, স্থানীয় বালু খেকো রহিম উদ্দীন ও দুলাল গত কয়েকমাস হলো সকলকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন ও বিক্রি এবং মওজুদ করে রেখেছেন। অপরদিকে নদী পারের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি ট্রাক্টর, এছাড়াও নদীর মাঝে দুটি স্যালো দিয়ে ড্রেজিং করে একই স্থানে একশত গজের মধ্যে দুটি বডিং দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন যজ্ঞ চলমান রেখেছেন এরশাদ ও গোলাম মোস্তফা,লালু ,টমাস ও মিল্লাত সহ কয়েকটি গং।
প্রভাবশালি এসব বালু উত্তোলন কারীদের ভয়ে স্থানীয় সচেতন মানুষ কোন প্রতিবাদ করতে পারে না
বা কাউকে অভিযোগ করে না। তাদের অবৈধ এসব বালু ও মাটি উত্তোলন ও পরিবহনে ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ গুলো হুমকির মুখে রয়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের অনেক স্থানে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও কারো কোন দায়িত্ব নেই এ অবৈধ কার্যক্রম দিব্বি চলছে। অপর দিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও প্রশাসনের পক্ষ হতে নিরব ভূমিকা পালন করায় এই এলাকাটি ধবংস পূরীতে পরিণত হয়েছে। উপজেলা একটি বন্যার আশ্রয়ন কেন্দ্র যাহা সগুণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিসাবে পরিচিত এ গ্রামে যাতাআতের রাস্তাটি বালু খেকোদের পেটে যাওয়ার পরেও প্রশাসনের এ নিরবতা কিসের আলামত। উক্ত এলাকার রাস্তা ও আবাদী জমি ধংসের সাথে ও সগুণা মৌজার অর্ধশত বিঘা জমি হুমকির মুখে
ফেলার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা দ্রুত প্রয়োজন।