বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :
“সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা”। আজ চাষারা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। স্বপ্ন বুঁনতে ভুলে গেছে। বাকরুদ্ধ পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকদের একটু শান্তনা দেবারও কেউ নেই।
উপজেলা কৃষি অফিসের তো এদের দিকে তাকানোর সময়ই নেই। কৃষকেরা বাপ দাদার শিখানো পদ্ধতিতে এখনও চাষ- আবাদ করলেও সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত উপজেলার ৭৫ শতাংশ কৃষক। কে তাকেবে এদের দিকে?
এই দুযোগ মহুর্তে পলাশবাড়ী উপজেলার ১০০% কৃষকই বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন, তাই উপজেলার কৃষকদের ঘুরে দাড়ানোর জন্য কৃষি প্রণোদনা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন।
এই প্রণোদনা না দিলে পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা ধার- দেনায় জর্জরিত হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়বে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুুতি নিতে হবে নতুন করে ধানের বীজ- তলা তৈরিতে। চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে।
কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের সংসারই চলছে না, এসব জমি তৈরির কাজ করবে কি দিয়ে। সে চিন্তায় কৃষকেরা পাগল প্রায়। রবি শস্যের জন্য উচু জমিতে চাষ দেওয়া, সার বীজ ক্রয় করা খুব কস্ট সাধ্য হয়ে পড়বে উপজেলার কৃষকদের।
তাই এদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কৃষি প্রণোদনা ব্যাংক কিংবা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে দেওয়া যেন না হয়। কৃষি প্রণোদনা দিতে হবে এনজিওর মাধ্যমে তাহলে সঠিক কৃষকই সঠিক ভাবে সরকারী সাহায্যে সহযোগিতা পাবে বলে সচেতন মানুষ মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা করা হয় তা যতৎ সামান্য।
কৃষকদের ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও ঐ একই অবস্থা। সার বীজ বিতরণে প্রকৃত কৃষক বঞ্চিত হয়। এমন অভিযোগ উপজেলার শত শত কৃষকদের। এই দুযোগে কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে।