নিউজ ডেস্ক:
পচা, বাসি, নোংরা সামগ্রী দিয়ে ইফতারি তৈরির দায়ে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী এ ভেজালবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলা প্রশাসন, এপিবিএন-৫ ও বিএসটিআই।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। দীর্ঘদিনের পচা বাধাকপি। দুর্গন্ধে সেখানে থাকা দায়। বাজার থেকে সবচেয়ে নিম্নমানের পচা সবজি কিনে রাখা হয়েছে। পচা বেগুন, গাজর, শসা। দ্বায়িত্বশীল কেউ বলতে চান না কবে কত দামে সেগুলো কেনা হয়েছে। ফ্রিজের ভেতর পচা বাসি মাংস। একই তেল পাঁচ-সাত দিন ধরে বারবার ব্যবহার করায় তা কুচকুচে কালো মবিলের মতো হয়েছে। এসব সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইফতারি। এ চিত্র ফুটপাতের কোনো রেস্টুরেন্টের নয়। এটি রাজধানীর চানখারপুলের ক্যান্ডেল লাইট রেস্টুরেন্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আসার খবর পেয়ে এটি ভেতর থেকে তালা মেরে রাখা হয়। তালা খুলে ভেতরে ঢোকে মোবাইল কোর্ট। এ ছাড়া চানখারপুলের বনফুল অ্যান্ড কোং প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে খাবারের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ ও প্রস্তুতির তারিখ উল্লেখ ছিল না। ওই দোকানে পুরোনো বাসি জিলাপি বিক্রির জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী জানান, অন্যায়ভাবে পচা ও বাসি ও ভেজাল খাবার তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে ক্যান্ডেল লাইট রেস্টুওরেন্টের মালিক স্বপন চৌধুরীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বনফুল অ্যান্ড কোং-এর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরো ছয়টি হোটেল ও খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এসব প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা ও প্রস্তুতকৃত খাদ্যসামগ্রীর মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় এবং অধিকতর মান উন্নয়নের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
এপিবিএন-৫ এর সিনিয়র এএসপি সাইদুর রহমান রুবেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে নজরদারির পর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযানের কারণে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের মান আগের তুলনায় বেশ ভালো হয়েছে। যাদের সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ঢাকা জেলা প্রশাসন, এপিবিএন-৫, বিএসটিআইর এ যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন এপিবিএন-৫ এর এএসপি বিল্লাল হোসেন এবং বিএসটিআইর ফিল্ড অফিসার রিগ্যান বৈদ্য।