রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে কিফাইত নগর আঞ্চলিক সড়কের দস্যু কিফাইতনগর নেছারাবাদ নদীর ধস নেমেছে। এতে প্রায় এক হাজার পাঁচ শত বর্গফুট রাস্তা নদীর সাথে ভেঙ্গে গেছে। এ কারনে ওতুল মাঝির খেয়াগাট, কিফাইত নগর, ইছানিল ও নেছারাবার সড়ক গুলোর যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে ২০১৩ সালে ও ঐ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা নিজ অনুদানে রাস্তাটি নেছারীয়া খালের পারে বেরীবাধ করে কোন রকম হাটার উপযুগি করে নেয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, গত ১০ বছর যাবৎ এই রাস্তাটি একই ভাবে ভেঙ্গে রয়েছে এতে রাস্তাটির প্রায় ৭৫ শতাংশ নদীতে বিলিন হয়ে গেছে বলে জানান তারা। ৮ ফুট প্রস্থের সড়কসহ পার্শ্ববর্তী জমিও চলে যাচ্ছে নদীর গভীরে। ভেঙ্গে যাওয়া
রাস্তার পাষে রয়েছে শত শত মানুষের বসবাস, বয়েছে বসত ঘর এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ময়দান। ২০১৩ সালের স্থানীদের অর্থায়নে সড়কটিতে মাটি দিয়ে ভরাট করে মেরামত করেছিল।
এ বিষয় স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে ঐ রাস্তাটি সাবেক পৌর মেয়র ‘হালিম গাজী’ নির্মান কাজ করার পর দুবার পর্যন্ত মেয়র পরিবর্তন হল্ওে আজও পর্যন্ত ঝালকাঠির পৌর মেয়ররা রাস্তাটি সঙস্কার অথবা পূর্ন নির্মানের কোন রূপ কার্যক্রম গ্রহন করা হয়নি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কয়েক বার পৌর মেয়রের কাছে আবেদন জানালেও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ যে, প্রায় দিনই প্রতিনিয়ত রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারনে বিভিন্ন যানবাহনে স্থানীয় বাসিন্দা সহ চলাচলকারী জনগন সড়ক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিদিন ¯থানীয় শত শত মানুষের প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরন, শিশু ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজে, এবং দিনমজুরদের পেটের আহার রোজগার করতে এই রাস্তা থেকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরো জোর দাবী জানান, বর্ষাকাল আসার পূর্বে রাস্তাটি কতৃপক্ষ যেন কমল মতি ছোট্র শিশু ছাত্রছাত্রীদের দূর্ঘটনা এড়াতে রাস্তাটি চলার উপযোগী করে যাতে সাধারন মানুষ সহ তাদের সন্তানেরা চলাচল করতে পারে।