নিউজ ডেস্ক:
আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। শিখিয়েছেন জীবনের প্রতিটি বিষয়ে প্রার্থনা করার কৌশল। বান্দার অপারগতায় এবং প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার নিকট প্রার্থনার জন্য উত্তম বাক্যগুলো কুরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন।
দুনিয়াতে উম্মতে মুহাম্মাদির আগমন সব নবি-রাসুলদের পরে। আল্লাহ তাআলা পূববর্তী সব নবি-রাসুলদের গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয় আবেদনগুলো থেকে পছন্দনীয় দোয়াগুলো উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য কুরআনের অংশ হিসেবে সংযোজন করেছেন।
এমনই একটি দোয়া কুরআনে এসেছে, যা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর নিজের ও সন্তানদের জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে একনিষ্ঠভাবে কামনা করেছিলেন। এ আবেদন আল্লাহ তাআলার এতই পছন্দ হয়েছিল যে, তিনি তা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য উপহার স্বরূপ কুরআনে তুলে ধরেছেন-
উচ্চারণ : রাব্বিঝআ’লনি মুক্বিমাসসালাতি ওয়া মিন জুররিয়্যাতি রাব্বানা ওয়া তাক্বাব্বাল দোয়া। রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমু’মিনিনা ইয়ামা ইয়াক্বুমুল হিসাব।
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানাও; আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।
হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন; যে দিন হিসাব কায়েম হবে। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪০-৪১)
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম নিজের জন্য এবং তাঁর সন্তানদের জন্য এ দোয়া করেছিলেন। তাঁর এ দোয়াটি আল্লাহ তাআলার এতই পছন্দ হয়েছিল যে, তিনি তাঁর প্রিয় বন্ধুর উম্মতের জন্য দান করেছেন।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে এ আয়াতের মাধ্যমে নিজের এবং বংশধ্বরদের ক্ষমা প্রার্থনায় এ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। কুরআনে উল্লেখিত অন্যান্য দোয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।