ফসল প্লাবিত: পানি বন্দি দু’শতাধিক পরিবার
রোকনুজ্জামান রোকন: টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়ে দামুড়হুদার গোপালপুর-লক্ষীপুরের হাজার হাজার বিঘা ফসল তলিয়ে গেছে। এছাড়াও গোপালপুরের খাল ভরাটের কারনে পানি বন্দি হয়েছে কয়েক’শ পরিবার। ফসল প্লাবিত ও পানি বন্দি হওয়ার মূল কারন হিসাবে ধরা হচ্ছে খাল ভরাট করাকে। অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি এখন মৃত প্রায়। সরকারি খলটি সংস্কার না করার কারনে এখন যে যার মত ব্যবহার করছে এমনটিই জানালেন এলাকাবাসী। এই গ্রামের কয়েকজন চাষী চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলেন, আজ যদি আমাদের গ্রামের খালটি সচল থাকতো তাহলে আমাদের এত কষ্টের পরিশ্রম বিফলে যেত না। ডুবতো না আমাদের ধান, কুমড়া শাকসবজি। অন্যদিকে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার। গোপালপুর, লক্ষীপুর, ইব্রাহীমপুর কলাবাড়ী, রামনগরসহ আশপাশের গ্রামের মাঠ পরিদর্শন করে দেখা যায়, ধান, মিষ্টি কুমড়া, বেগুনসহ সকল শাকসবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গোপালপুর গ্রামের বর্গাচাষী আলামিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোপালপুর গ্রামের প্রায় দুই হাজার বিঘা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চাষী শাহিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামের প্রায় পাঁচশ’ বিঘা শাকসবজি প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ফসলগুলো প্লাবিত হওয়ার একটাই কারন খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত না হওয়া। গ্রামের সকল মাঠের পানি প্রবাহিত হতো এ খালের মাধ্যমে। কৃষকদের পাশাপাশি মাছ চাষীরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বড় জেয়ালা নামক মাঠে বেশ কয়েকজন মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এমতাবস্তায় পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বন্ধ থাকায় মাছ চাষীরাও পড়েছে চরম বিপাকে। গতকালের ভারি বর্ষণে পুকুরের বাধ ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকার মাছ মাঠের মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। তাই গ্রামের ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের প্রাণের দাবি খালটি যারা ভরাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং খালের সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ।