নিউজ ডেস্ক:
ক্ষিণ ইউরোপের দেশ ডেনমার্কে একজন নারীকে একটি মসজিদের ইমাম নিয়োগ করা হয়েছে। অবশ্য সে মসজিদের নামাজিরা সবাই নারী। এর আগে আমেরিকা, কানাডা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এরকম নারী ইমামতিতে নামাজের ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু এ নারী ইমামতি কি ইসলাম অনুমোদিত? এ নিয়ে বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মো: আফজলের সাথে কথা বলেছে বিবিসি। এখানে তার অভিমত তুলে ধরা হলো :
শামীম মো: আফজল এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কোরান-হাদিসের বিধানমতে এবং চৌদ্দশো বছরের ইসলামিক বিধিবিধান অনুসারে যেভাবে পৃথিবীতে এবাদত বন্দেগী চলছে তাতে নারী সম্প্রদায়ের ইমামতি করার কোনও বিধান নেই।’
কিন্তু যারা নারী ইমামতিতে নামাজের ব্যবস্থা চালু করেছেন তারা বলছেন নবীর মুহাম্মদের সময় আরবের মসজিদে আয়েশা রা: নারীদের নামাজে ইমামতি করতেন, যেটি নবী নিজেও অনুমোদন করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলছেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভ্রান্তিমূলক কথা। এরকম কিছু মিথ্যা হাদিসের বরাত দিয়ে কেউ কিছু বলে থাকেন, তবে এ বিষয়ে কিছু আমার জানাতে নাই। সাত-আট বছর আগে আমেরিকাতে এক ভদ্রমহিলা এই কাজ করতে চাচ্ছিলেন, বিশ্ববাসী মেনে নেয় নাই।’
বাংলাদেশের কিছু মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু বিশ্বের সুন্নী বা শিয়া কোনও সম্প্রদায়েই নারীদের ইমামতির সুযোগ শরিয়তের বিধানে নাই বলে উল্লেখ করছেন শামীম মো: আফজল।
মি: আফজল বলছেন, ‘নারীদের জন্য পর্দার আড়াল থেকে একজন পুরুষ ইমামতি করেন। বিশ্বের কোনও মুসলিম দেশে এমন কিছু নাই। নবী করিম জীবনদশা যে বিধান রেখে গেছেন এটা পরিপূর্ণ, তার সাথে যোগ করা বা বিয়োগ করার কোন এখতিয়ার নেই।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মো. আফজল বলছেন, যেসব মসজিদে নারীরা ইমামতি করছেন সেগুলো শরিয়াহসম্মত বা ইসলামসম্মত নয় বলে মনে করেন তিনি।
‘আমার জানামতে মুসলমানদের কোনও মসজিদ, যারা নবীজীর উম্মত তাদের মসজিদে এমনটা করছেন না। এটা আন্তর্জাতিক কোনও ফেতনা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলেই আমি মনে করি