সম্প্রতি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে একটি রোগীর ভর্তি ফরম ও রোগ বৃত্তান্ত ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে এক রোগী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের নামও দেখা যায়। ভর্তি ফরমে মূলত সারজিস আলমের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ওই রোগী ভর্তি হন এবং চিকিৎসা নেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ফরমটি ভাইরাল হতেই চারদিকে সারজিসকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।
ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর এখনো ব্যক্তির নাম-পরিচয় ভাঙিয়ে সুবিধা নেওয়াতেই কাঠগড়ায় তোলা হয় সারজিসকে।
তবে এ সমালোচনার জবাব দিয়েছেন সারজিস। এই সমন্বয়কের দাবি, তার কোনো আত্মীয়ই পাবনায় থাকেন না। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক ফরমের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন কমেন্ট বক্সে লিখেছিলেন, আমি একজন ডাক্তার হিসেবে প্রচণ্ড কষ্ট পেলাম সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের এই ভর্তি ফরম দেখে, ছাত্র-জনতার উত্থান এইভাবে হতে পারে না।
সেই কমেন্টের জবাবে সারজিস লেখেন, আমার পুরো বংশতে কেউ পাবনাতে থাকে না। এটা যে করেছে তাকেও আমি চিনিনা। এখন আমরা যদি নিজের ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব মাথায় রেখে মানুষের নাম ভাঙিয়ে চলার অভ্যাস থেকে বের হয়ে না আসতে পারি তাহলে পরিবর্তন কীভাবে হবে?
এরপর তিনি লেখেন, পরিবর্তন তো শুরু হতে হবে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে, নিজের ঘর থেকে।