নিউজ ডেস্ক:
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে নিউজিল্যান্ড। নামিবিয়াকে হারিয়ে সেই পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেন উইলিয়ামসনের দল। চার ম্যাচে তিন জয়ে আফগানদের টপকে সেমিতে পাকিস্তানের সঙ্গী হওয়াটা অনেকটাই পাকাপোক্ত করল কিউয়িরা।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শারজায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেনি কিউয়িরা। তবে ফিলিপস ও নিশামের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়তে পারে দলটি।
শেষ চার নিশ্চিতে সুপার টুয়েলভে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছুই ছিল না উইলিয়ামসনদের মাথায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামলেও নামিবিয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৪ ওভারে ৮৭ রান তুলতেই চার টপঅর্ডারকে হারিয়ে বসে কিউয়িরা।
তবে পাঁচ ও ছয় নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপস ও জেমস নিশামের ব্যাটিং ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সামর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফিলিপস। তাঁর ২১ বলের এই ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কার সঙ্গে একটি চারের মার। আর ২৩ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জেমস নিশাম। তিনিও হাঁকান ২টি ছক্কার সঙ্গে একটি চার। এ দুজনে মিলে শেষ ছয় ওভারে তোলেন ৭৬ রান।
নামিবিয়ার পক্ষে বারনার্ড স্কলজ ১৫ রান এবং গেরহার্ড এরাসমাস ২২ রান দিয়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন। উইকেট পান ডেভিড উইসেও, তবে তিনি খরচ করেন ৪০টি রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ধীরগতির করলেও ভালোই হয় নামিবিয়ার। সাত ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তুলে ফেলে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগেই চমকে দেয়া দলটি। তবে পরের আট রান তুলতেই তিনটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় গেরহার্ড এরাসমাসের দল।
সেখান থেকে দলকে টেনে তুলতে এদিন ব্যর্থ হন আগের ম্যাচগুলোর ত্রাণকর্তা ডেভিড উইসে। আউট হন ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করে। সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার এদিন বলে-ব্যাট উভয় ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হলে তাঁর প্রভাবটা ভালোভাবেই টের পায় নামিবিয়া।
কিউয়ি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ও ক্ষুরধার বোলিংয়ে পরের দিকের ব্যাটাররাও রান না পেলে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বিশ্বকাপের নবাগত এই দলটি। যাতে ৫২ রানের বড় জয়ে সেমির পথে এগিয়ে যাওয়ার বড় রসদ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
দলটির পক্ষে এদিন ১৫ ও ২০ করে রান দিয়ে ২টি করে উইকেট ভাগ করে নেন দুই সেরা বোলার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম ও ইশ সোধি। আর অলরাউন্ড পারফর্মে ম্যাচ সেরা হন জিমি নিশামই।