নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ে চলছে অবাধে গাড়ি পার্কিং। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দুপাশে বাস-ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন দাড় করিয়ে রাখে ঘন্টার-পর-ঘন্টা। এছাড়া সড়কের মধ্যেই যাত্রী উঠানামা যেন তাদের নিত্যসহচর অভ্যাস। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার যানবাহন চালকদের। পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারন সহ যাত্রীসাধারনের রাস্তা পারাপারের সময় মরাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা। সরজমিন দেখা যায় চৌরাস্তার দক্ষিন ও পশ্চিম মোড়ে রয়েছে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। উক্ত দুটি মোড়েই রাস্তার উপর বাস-ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহনের অবাধে পার্কিং। পশ্চিম মোড় হতে বারুইগ্রাম মাদ্রাসা পর্যন্ত উভয় পাশেই রাস্তার উপর বাস-ট্রাকের সারিবদ্ধ পার্কিং। এতে স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী সহ স্থানীয় জনসাধারন এ পথে আসতে আতংকের মধ্যে থাকে। অপরদিকে চৌরাস্তার উত্তর মোড়ে আঠারবাড়ী এবং পূর্বদিকে রয়েছে তাড়াইল সড়ক। এ দুটি সড়কের উপর সিএনজি চালিত অটো, অটোবাইক, ইজিবাইক, ইলেক্ট্রিক রিক্সা, টমটম ও ভ্যান গাড়ির এলেমেলো পার্কিং করা থাকে সবসময়। যার ফলে দূরপাল্লার যানবাহন সহ সকল যানচালকগণ ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে খেয়ালখুশী মত চলছে। এ বিষয়ে মোটরযান শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. নন্দন মিয়া বলেন, ‘যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় এই হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’ চৌরাস্তা এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পুরো রাস্তা যেন ইজিবাইক ও অন্যান্য গাড়ির দখলে। অদক্ষ চালক ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর কারণে প্রতিদিন ছোট-বড় ৫ থেকে ৬টি দুর্ঘটনা ঘটছে। কেউ কেউ গুরুতর আহত হচ্ছে। কিন্তু এসবের কোনো প্রতিকার নেই। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘অবাধে গাড়ি পার্কিং এর কারনে সৃষ্ট সমস্যার জন্য প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। চৌরাস্তা এলাকায় নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ প্রয়োজন। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার ট্রাফিকের ব্যবস্থা থাকলে সমস্যা লাঘব হতো।’ এ বিষয়ে নান্দাইল হাইওয়ে থানা (চৌরাস্তা) ওসি মো. মামুন রহমান বলেন, “আমরা প্রায়ই অবাধে পার্কিং এর জন্য তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি সহ নিয়মের মধ্যে আনা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন যানবাহন চালক, যাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারন।