অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ : তদন্তের নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক: দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক সাইদুরের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক অভিযুক্ত লাইব্রেরীয়ানের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান সাইদুর বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বাজে মন্তব্য করে। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে জানালে তার অভিভাবক বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বিষয়টি জানায়। তাতেও সাইদুর নিজেকে সংশোধন না করে আবারো মেয়েটিকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। শেষ পর্যন্ত কোন উপায়ন্তর না পেয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থীর মা জানান, অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ান আমার মেয়েকে নিয়ে তার সামনে বিভিন্ন বাজে বাজে মন্তব্য করে। আমার মেয়েকে নই আরো মেয়েকে সে বাজে কথা বলে। আমার মেয়েকে আর নাটুদাহ স্কুলে পাঠাবো না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক জানান, ওর বিরুদ্ধে মেয়েঘটিত অভিযোগের শেষ নেই। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা কেউ এ্যাসেম্বলিতে যোগ দেয়নি। তাদের দাবি লাইব্রেরিয়ানে শাস্তি না হলে তারা এ্যাসেম্বলিতে যোগ দেবেনা। অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ান সাইদুরের বহিস্কারের দাবিতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লাইব্রেরিয়ানের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং নিজেকে জাহিরি করতে থাকেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ দেবার কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এ্যাসিল্যান্ড) কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।