নিউজ ডেস্ক:
নরসিংদীর শহরতলির গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটির ভেতরে অবস্থান করা ৫ যুবক আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে পরপর পাঁচ যুবককে এই বাড়ি থেকে বের করে র্যাবের মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকায় নেওয়ার জন্য রওনা হয়।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শনিবার বিকেল থেকে গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকার বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব-১১-এর একটি দল। সেখানে পুলিশ সদস্য সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরাও ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঘেরাও করা ওই বাড়ির মালিকের নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মঈন আহমেদ। তিনি দুবাইয়ে থাকেন। বাড়িটিতে তার পরিবারের কেউ থাকেন না।
মঈনের ছোট ভাই জাকারিয়াকে আটক করেছে র্যাব। এ ঘটনায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঈন উদ্দিনের বাড়ির কাছে নরসিংদী জামেয়া কাশেমিয়া মাদ্রাসা। সালাউদ্দিন নামের ওই মাদ্রাসার কামিল শ্রেণির একজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে চলতি মাসের ৩ তারিখ মঈন উদ্দিনের বাড়িটি ভাড়া নেন। এরপর ওই বাড়িতে সালাউদ্দিন চার থেকে পাঁচজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
র্যাবের ধারণা, তারা জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। ওই বাড়িতে অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে র্যাব -১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসানের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেন। তার আগে জঙ্গি আত্মগোপন করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সম্প্রতি নরসিংদীর শেখেরচর, মাধবদীর টাটাপাড়া, বিরামপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র্যাবের এই অভিযানে জেলা গোয়েদা ও সদর থানার পুলিশ অংশ নিয়েছে।
অভিযান শেষে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, যুবকদের আত্মসমর্পণ করাই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। একই সাথে তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন আতিয়া মহলের জঙ্গিদের সাথে এখানকার আটকদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।