তিতুদহের বড়শলুয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর
নিউজ ডেস্ক:পূর্বশত্রুতার জের ধরে চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়া গ্রামে ছাত্তারের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী পারভিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত একমাস আগে বড় শলুয়া গ্রামের মৃত আত্তাব আলীর ভাগিনা নাজিম মুহুরী একই গ্রামের মৃত ওয়াজেদের ছেলে আজমুল হকের কাছে ১ হাজার টাকা পেতো। নাজিম মুহুরী আজমলের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে আজমল নাজিম মুহুরীকে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে ডেকে মারধর করে। আব্দুস ছাত্তার নাজিম মুহুরীর বন্ধু হওয়ায় নাজিমকে আজমল মারধর করলে আব্দুস ছাত্তার প্রতিবাদ করে। এরপর আজমল নাজিমকে ছেড়ে আব্দুস ছাত্তারকে দেখে নেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর থেকে আব্দুস ছাত্তার আজমলের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। এর মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আজমল ও তার বাহিনীরা ছাত্তারের বাড়িতে তা-ব চালায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বড় শলুয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদের ছেলে আজমুল, একই গ্রামের মৃত মুফাজ্জেলের ছেলে রেজাউল, মৃত আজাদের ছেলে সোহাগ, মৃত কলিমের ছেলে সাইদুর, আলী হোসেনের ছেলে লিটন, চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন পাড়ার বিপুলসহ ১০/১৫ জন রাম দা নিয়ে বাড়িতে ঢুকে প্রথমে বাইরের বৈদ্যুতিক লাইট ভাঙে। এরপর চিৎকার দিয়ে ছাত্তারকে খুঁজতে থাকে। ছাত্তার কে না পাওয়ায় পরিবারের বাকি সদস্যদের অন্য ঘরে বন্দি করে রেখে শোবার ঘর থেকে বাক্স ভেঙে নগদ ১ লাখ টাকাসহ ২ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়।
এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইন্দ্রজিৎ জানান, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম, ঘটনা সত্য। তবে, এ নিয়ে এলাকাবাসীর ভয় পাবার কোন কারণ নেই। আমরা ঘটনার প্রকৃত দোষীদের ধরতে চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদেরকে ধরতে পারবো। আজ রবিবার এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্তাদের পরিবার।