নিউজ ডেস্ক:
মসলা ছাড়া বাঙালির এক বেলাও চলে না। মসলার কারণেই খাবারে স্বাদের রকমফের হয়। বাজারে মসলার দামও বেশ চড়া। কিন্তু প্রচুর অর্থ খরচ করলেও ঠিকমতো ভালো মসলা পাওয়া যায় না। কখনো দেখা যায়, পুরো মসলাই নকল। কাঠ ও ইটের গুঁড়া, ভুসি, ক্ষতিকর রঙ কিংবা স্প্রে করে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জেনে নিন ভালো মসলা চেনার উপায়-
দারুচিনি: দারুচিনির নির্যাস থেকে তৈরি হয় বেশ কিছু দামি ওষুধ ও সুগন্ধী। ভালো দারুচিনিতে থাকবে মিষ্টি একটা গন্ধ এবং এর স্বাদ হবে ঝাঁঝালো মিষ্টি। অনেক সময় অন্য গাছের ছাল রঙ করে এবং দারুচিনির নির্যাস স্প্রে করে সেটাকে দারুচিনি বলে চালিয়ে দেয় বিক্রেতা। দারুচিনি কিছুক্ষণ হাতে মুঠো করে ধরে রাখুন। হাত দিয়ে কচলে নাকের কাছে নিন। দারুচিনি ভেজাল হয়ে থাকলে গন্ধ খুব হালকা হয়ে যাবে। দারুচিনি পানিতে ভিজিয়ে আঙুল দিয়ে ঘষে দেখুন, রঙ কৃত্রিম কি না তা বুঝতে পারবেন। দারুচিনি আসল কি না সেটা বোঝার আরেকটি উপায় হলো এর স্বাদ পরখ করে দেখা। সামান্য দারুচিনি ভেঙ্গে নিয়ে মুখে দিয়ে চিবিয়ে দেখুন। দারুচিনি আসল হলে এর স্বাদ হবে ঝাঁঝালো মিষ্টি।
লবঙ্গ: নাকফুলের মতো দেখতে লবঙ্গ খুবই উপকারী মসলা। এর নির্যাস থেকে তৈরি হয় বেশ কয়েক ধরনের ওষুধ। লবঙ্গ ঠিকঠাক আছে কি না তা বোঝার জন্য একটা লবঙ্গে নখ দিয়ে চাপ দিন। যদি একটুও তেল বের না হয় তাহলে বুঝবেন, লবঙ্গ থেকে নির্যাস আগেই বের করে নেয়া হয়েছে। আরেকটি কাজ করতে পারেন, লবঙ্গ চাপ দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করুন। লবঙ্গ যদি মট করে ভাঙ্গা না যায় তাহলেও একই ব্যাপার বুঝে নেবেন।
সাদা ও কালো এলাচ: সাদা বা কালো এলাচ থেকে রস বা নির্যাস বের করে নেয়া হয়েছে কি না, তা বোঝার উপায় হলো এলাচের খোসা খুলে ফেলা। নির্যাস আগে থেকেই বের করা হলে এর দানাগুলো একেবারে শুকনো হয়ে যায় এবং সেগুলো খোসার সাথে একদম লেগে থাকে।
জিরা: জিরাতে ভেজালের পরিমাণটা একটু বেশিই থাকে। এটি রোদে শুকিয়ে বিক্রি করা হয় বলে নির্যাস বের করে নিলেও বোঝা যায় না। এক্ষেত্রে পরখ করতে হয় জিরার স্বাদ ও গন্ধ। দু’একটি জিরা মুখে দিয়ে চিবিয়ে দেখুন। আসল জিরা হলে এর স্বাদ হবে ঝাঁঝালো ও গন্ধ হবে তীব্র।
মরিচ গুঁড়া: ভেজাল হিসেব এতে মেশানো হয় ইটের গুঁড়াসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যাদি। মরিচের গুঁড়া ভালো হলে তা হবে একেবারে ঝরঝরে। যেকোনো ধরনের ভেজাল মেশালে এ ঝরঝরে ভাবটা আর থাকে না। ভিজে ভিজে লাগলে সে মরিচের গুঁড়া ব্যবহার না করাটাই ভালো।