নিউজ ডেস্ক:ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ে ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৬শ’ পিস (৬০ কেজি) স্বর্ণের বারসহ দু’জনকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর ১টায় মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানাধীন সোনাপাহাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি পাজেরো মিটসুবিসি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের মৃত শহীদুল ইসলামের ছেলে রাকিব (৩৪) এবং একই এলাকার মোবারক পাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে করিম খান কালু (৩৪)।
চট্টগ্রামের (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলা রেজা জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় সোনাপাহাড় থেকে ঢাকামুখী ওই গাড়িটি আটক করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে সবাই দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গাড়ি তল্লাশি করে তেলের ট্যাংকির পাশ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় লুকানো অবস্থায় ৬০টি প্যাকেটে (প্রতি প্যাকেটে ১০টি করে) মোট ৬শ’ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) মো. আফরুজুল হক টুটুল, মীরসরাই সার্কেল এএসপি সামছুদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আটকৃকতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, দেড় মণ সোনার প্রকৃত মালিক কারা সে তথ্য উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। এই দেড় মণ সোনা পাচারের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়েকজন কারবারি জড়িত থাকতে পারে ধারণা করছে পুলিশ। এবিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা গেছে।