সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিনি দেশ ছাড়েন।
ওবায়দুল হাসান কোন পথে কোন দেশে গেছেন তা জানা যায়নি। তবে একটি সূত্রের দাবি, গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।
গত ১০ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ওইদিন দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।
বেশকিছু কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পদত্যাগ পত্রে এর কারণগুলো তুলে ধরেছেন তিনি।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্থা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজকোর্টগুলো ও রেকর্ড রুমগুলো রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি।
এই ফুলকোর্ট সভা ডাকাকে ‘জুডিশিয়ারি ক্যু’ সন্দেহ করে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ওবায়দুল হাসান।