নিউজ ডেস্ক:
ব্লু-ইকোনমি বাংলাদেশের ভবিষ্যত চালিকাশক্তি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। গতকাল রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্লু-ইকোনমি : বাংলাদেশ অ্যান্ড বে-অব-বেঙ্গল রিজিওনাল কো-অপারেশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সের অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন।
সেমিনারে ব্লু-ইকোনমি বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিলুফার ইয়াসমিন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দি হচ্ছে আঞ্চলিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র এবং আমাদের জ্ঞান ও অর্থনীতি পুর্বীয়করণের বিষয়। বিমসটেক হচ্ছে আমাদের জন্য এক্ষেত্রে এটি অপূর্ব সুযোগ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. দীপু মনির সভাপতিত্বে আমেরিকান সেন্টারের সহযোগিতায় এবং কোস্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিমসটেকের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত সুমিত নাখান্দালা, রয়েল ভুটান এমবাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি দোমাং, শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনার ইয়াসুজা গুনাসেকারা, আমেরিকান সেন্টারর কূটনৈতিক কর্মকর্তা রেক্স মোজের, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্লু-ইকোনোমি সেলের প্রধান কমোডর এ এ মামুন চৌধুরী, কোস্ট গার্ডের ক্যাপ্টেন মামুনুর রশীদ।
সেমিনারে বক্তারা বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়ন এবং সেখান থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে বাংলাদেশ এবং বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক বিষয়সমুহকে পুর্বীয়করণ করার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বঙ্গপোসাগর অঞ্চলের অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ইতিহাস বহু বছরের পুরনো, যা বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোকে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং যোগাযোগ বৃদ্ধিতে উদ্বুদ্ধ করে এবং ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের জনগণের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, সাগরকেন্দ্রিক টেকসই অর্থনীতির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমদের সরকার অত্যন্ত সচেতন। বিমসটেকের মহাসচিব সুমতি নাখান্দালা বলেন, বে অব বেঙ্গল দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি নতুন নয়। এ অঞ্চলের ক্ষেত্রে ১৪টি সহযোগিতার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।