নিউজ ডেস্ক:
মু.ওয়াছীঊদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
হাসান-হোসেন দুই সহোদর। একই দিনে জন্মগ্রহণ করে তারা। গরীবের সংসারে জন্ম তাদের। মা-বাবাও শিক্ষার মর্ম বুঝে নি! নয়তো কষ্ট করেও শিক্ষার আলো দেখাতো হাসান ও হোসেনকে।
মাত্র ১২ বছরে পড়েছে তাদের বয়স। বাবা খোরশেদ আলম সিএনজি গাড়ি চালান। পরিবারের অভাব অনটন মোচনের চেষ্টায় বাবার হাত ধরে রাস্তায় নামে তারা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় তারা দুই ভাই। লক্ষ্মীপুর টু বেগমগঞ্জ সড়কের জকসিন পূর্ব বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হাসান ও হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের শফিপুর গ্রামের মসজিদ বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাবার সাথে হাসান হোসেন দুই ভাই লক্ষ্মীপুর থেকে ফ্রিজ কিনে ভ্যানযোগে চরচামিতা খালার বাড়িতে যাচ্ছিল। তাদের বাবা আর খালা সিএনজিতে ছিল। ফ্রিজসহ তাদের ভ্যান ওই সিএনজির সাথে বাঁধা ছিল। জকসিন পূর্ব বাজারে পৌঁছলে সিএনজি থেকে তাদের ভ্যানের বাঁধন খুলে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ভ্যানটি পিছনে থাকা নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী আনন্দ পরিবহণের একটি বাসের (ঢাকা মেট্টো-জ-০৪০৬২০) নিচে ঢুকে যায়। ভ্যানটিকে বাঁচাতে গেলে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায় ওই বাসটি। তবুও শেষ রক্ষা হয় নি।
এতে ঘটনাস্থলে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। ওই বাসে থাকা কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দুর্ঘটনা ও দুই সহোদরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের অভিমত, নিহত দুই সহোদরের পিতার ভুলেই এমন দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।