চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অধিদপ্তরের অভিযান
নিউজ ডেস্ক:রমজান শুরু হতে না হতেই দাম বেড়েছে তেল, ডাল, মুড়ি, সেমাইসহ বিশেষ কিছু পণ্যের। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে ভোক্তাদেরকে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে এক শ্রেণীর অসাদু ব্যবসায়ীরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়। এ সময় তেলের মধ্যে তেলাপোকা, অসত্য উৎপাদনের তারিখ (৫ জুন ২০১৯), অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুড়ি ও সেমাই তৈরি এবং মোড়কজাত বিধিমালা লঙ্ঘন করায় দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড় এলাকায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালায় একটি দল। অভিযানকালে জয় গোপাল ওয়েল মিল এন্ড মুড়ি ফ্যাক্টরিতে গিয়ে পাওয়া যায় নানা অনিয়ম। বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুতকৃত তেলের মধ্যে তেলাপোকা, তেলের উৎপাদনের তারিখ দেয়া হয়েছে একমাস পিছিয়ে ৫ জুন, এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে মুড়ি। যাতে মানা হচ্ছে না মোড়কজাত আইন। এ সমস্ত অপরাধের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারায় ৩০ হাজার টাকা এবং ভাই ভাই ওয়েল এন্ড মুড়ি ফ্যাক্টরিকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরাভাবে সেমাই তৈরি এবং মোড়কজাত বিধিমালা না মানার কারনে একই আইনের ৩৭ ও ৪৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ। সেই সঙ্গে কারখানা মালিকগন এ ধরনের কাজ আর করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর একই কাজ ভবিষ্যতে করলে লাইসেন্স বাতিলসহ কারখানা সিলগালা করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।