লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা বিঘা গ্রামে প্রতিপক্ষরা বিধবা হালিমা বেগমের পরিবারকে ৩মাস অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পরিবারের সদস্যরা বসতঘর থেকে বের হতে না পারায় একদিকে বিধবার সন্তান উপাজর্ন করতে পারে না,অপরদিকে কলেজ পড়–য়া নাতনী এবং স্কুল পড়–য়া নাতীর পড়া-লেখা বন্ধ হয়ে গেছে। সৃষ্ট ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার বিঘা গ্রামের সৈয়দ শাহমিনার দর্গার বাড়ির সহেল,বাদল,সওকত,বুলবুল গংদের সাথে একই বাড়ির বিধাব হালিমা বেগমের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সহেল-চৌধুরী গংরা ৩মাস পুর্বে বিধবার বসতঘরের দরজার সামনে বেড়া নির্মান করে। এতে বিধাব পরিবার গৃহবন্ধি হয়ে পড়ে। বসতঘরের সামনে বেড়া নির্মান করে প্রতিপক্ষরা পালাক্রমে পাহারা দেওয়ায় বিধবার কলেজ পড়–য়া নাতনী তানজিলা আক্তার ও ৫ম শ্রেনীতের পড়–য়া নাতী হাসিবুর রহমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। বিধবার পুত্রবধু নাজমা বেগম বলেন,বাড়ির কয়েকজন বখাটের কু-প্রস্তাবে বাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বসতঘরের সামনে বেডা নির্মান ও গাছের চারা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয় লিখিত অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করার পরও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
অভিযুক্ত বাড়ির মাতব্বর সহেল,বাদল,চৌধুরী,বুলবুল বলেন,বিধবার পুত্রবধু নাজমা বেগম অসামাজিক কাজে জড়িত হয়ে স্বামী-সন্তানকে বাড়িকে রেখে দীর্ঘ কয়েক মাস অন্যত্বে সংসার করে। সেখান থেকে পুনরায় স্বামীর সংসারে উপস্থিত হওয়ায় দর্গা বাড়ির ঐতিয্য রক্ষার্থে বেড়া দিয়ে সমাজচুত করে রেখেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু ইউসুফ বলেন,চলাচলের রাস্তায় বেড়া নির্মান করায় দুই শিক্ষার্থীর পড়া-লেখা বন্ধ হওয়ায় দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় হবে।