রামগঞ্জ সংবাদদাতা: রামগঞ্জ উপজেলার সাবেক ৭ নেতার বহিস্কারাদেশ অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূইয়া ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু বহিস্কৃত নেতাকর্মীদের আবেদনের ভিত্তিতে এ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেন। দীর্ঘ ৯বছর পর তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য দেখা দেয়। উপজেলাব্যপি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরন করা হয় এবং জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হানিফ পাটওয়ারী আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা দলের বৃহত্তর স্বার্থে পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভপতি ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র হানিফ পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরন, ভাদুর ইউপির চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও রামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক জিএস লকিয়ত উল্যা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদ আহম্মেদ দাদু, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল বাসার সতুর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
আবেদনকারী নেতৃবৃন্দ জানান, ২০০৮ইং সনের নির্বাচনের পর দলীয় গঠনতন্ত্র সম্পূণ উপেক্ষা করে কোন প্রকার কারন দর্শানো নোটিশ ব্যতিরকে সংবাদপত্রে প্রকাশের মাধ্যমে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কারাদেশ প্রাপ্তির পরও তারা দল ত্যাগ না করে দলীয় কর্মকান্ড অব্যাহত রাখেন। দলের এমন ক্রান্তিলগ্নে রাজনৈতিক মাঠে কাজ করার জন্য এসব নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।
বহিস্কৃত নেতাদের আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা তাদের বহিস্কারদেশ প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করলে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।