নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিকাত আলীর বিরুদ্ধে ২৯ বস্তা সরকারি ১০ টাকা মূল্যের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে এলাকাবাসী হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত এসব চাল অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ এনে মেম্বার রিকাত আলীকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা ইউএনও এবং দামুড়হুদা ও দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে ওয়ার্ড মেম্বর রিকাত আলী হাউলী ইউনিয়নের গোডাউনে থাকা ১০ টাকা মূল্যের ২৯ বস্তা সরকারি চাল আলমসাধু (ভটভটি) বোঝাই করে পাশের বাস্তুপুর গ্রামে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ইউপি মেম্বরকে অবরুদ্ধ করে।
সংশ্লিষ্ট ডিলার মো. ডেলিস জানান, তিনি হাউলী ইউনিয়নের দুটি ডিলারের চাল বিতরণ করেন। সম্প্রতি হতদরিদ্রদের তালিকা কিছুটা রদবদল হওয়ায় বাস্তুপুর এলাকার কয়েকজন দরিদ্র তাদের চাল নিতে পারেনি। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৯ বস্তা চাল বাস্তুপুরে নিয়ে আসা হয়।
ওয়ার্ড মেম্বার রিকাত আলী জানান, সম্প্রতি প্রশাসনের নিয়মমতো হতদরিদ্রদের তালিকায় ১০ শতাংশ রদবদল হয়েছে। এর ফলে যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তারা ভুল বুঝে তাকে অবরুদ্ধ করে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট ডিলারের স্টক রেজিস্ট্রার ও মাস্টাররোল সংগ্রহ করা হয়েছে।