দামুড়হুদা থানার গাফফারসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ!

0
12

চাকরিজীবী অমিত শিকদারকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলার ঘটনা : আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত
নিউজ ডেস্ক:অমিত শিকদার নামে এক চাকরিজীবীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে কালীগঞ্জ থানার ৭ পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার বিকালে ঝিনাইদহের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বর্তমান অবস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা আদালতে সরবরাহ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। দায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন- কালীগঞ্জ থানার ২০১৬ সালে কর্মরত এসআই লিটন কুমার, এসআই বিশ্বজিত পাল, এএসআই গাফফার, ২ জন কনস্টেবল, ওসি ও ডিউটি অফিসার। এরমধ্যে এএসআই গাফফার বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানায় কর্মরত আছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলায় চাকরিজীবী অমিত শিকদার ও কার্তিক বিশ্বাস নামে দুই ব্যক্তি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কালীগঞ্জ শহরের কাশিপুর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল তাদের গতিরোধ করে দেহ তল্লাশি করে। তল্লাশি শেষে অমিত ও কার্তিককে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে এএসআই গাফফার। তাদের রাতভর অমিত শিকদার ও কার্তিক বিশ্বাসকে থানায় আটকে রাখা হয়। পরদিন সকালে ৫২১ ও ৫২৯ নম্বর ডাইরি এন্ট্রি করে কার্তিক বিশ্বাসকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এসআই লিটন কুমার বিশ্বাস মিথ্যা জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে ইয়াবা দিয়ে অমিত শিকদারকে চালান দেয়। যার মামলা নং-৫, তারিখ-১১/০৩/১৬। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিশ্বজিত পাল সাক্ষীদের ১৬১ ধারায় অসত্য জবানবন্দী রেকর্ড করে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচার হয়।
বিচারে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় অমিত শিকদার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হন। অমিতের দরখাস্তটি মিস মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আদালত তদন্ত করতে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাসকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে কনক কুমার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত জমা দেওয়ার পর আদালত ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারকে উক্ত ৫ জন পুলিশ সদস্য, সেই সময়ে অফিসার ইনচার্জ ও ডিউটি অফিসারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়াও অধিকতর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চলতি মাসে ২৯ তারিখে ৭ জনের বর্তমান অবস্থান ও তাদের স্থায়ী ঠিকানা আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসআই লিটন কুমার, এসআই বিশ্বজিত পাল বর্তমানে র‌্যাবে কর্মরত। এএসআই গাফফার দামুড়হুদা থানায় কর্মরত আছেন। সে সময়কার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান বর্তমান ডিবি পুলিশের ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন।