উপরের চাপ আছে মামলা নেয়া যাবে না : পুলিশ
নিউজ ডেস্ক:: দামুড়হুদা রামনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণ অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের ক্লাবপাড়ার কুরবান আলী কুড়োনের মেজো ছেলে দুই সন্তানের জনক জিয়ার (৩৮) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। রামনগর ক্লাবপাড়ার ওয়েলডিং মিস্ত্রি শরীফ উদ্দীনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী হেনা খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের মতো নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন হেনা। হেনার স্বামী শরীফ ঢাকায় থাকে। সেই সুযোগে গত ৬ জুন বুধবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হেনার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায় লম্পট জিয়া। গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে হাতেনাতে জিয়াকে আটক করে। প্রতিবেশিদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় পালিয়ে যায় লম্পট জিয়া। ঘটনার একপর্যায়ে নিজের সম্মানের কথা ভেবে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মিমাংসার কথা জানানো হয় অভিযুক্ত জিয়াকে। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হেনার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হয়। উপায় না পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা আরো বলেন, আমরা মামলা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে বললো উপরের চাপ আছে মামলা নেয়া যাবে না আপনারা আদালতে যান। অবশেষ নিরুপায় হয়ে গতকাল সোমবার আদালতে একটি ধর্ষণ অপচেষ্টার মামলা করেছি। এবিষয়ে অভিযুক্ত জিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাকে হয়রানি করছে ওই পরিবার। এ বিষয়ে জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, বিষয়টি সত্য। ওই গৃহবধু মান সম্মানের ভয়ে চুপ থাকলেও অভিযুক্ত জিয়া গৃহবধুর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে লম্পট জিয়াকে আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানোর দাবি জানান এলাকাবাসী।