বোমা সরবরাহকারী হাকিম জখম, রাজশাহীতে রেফার্ড
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার ধান্যঘরা গ্রামে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে আব্দুল হাকিম (৪২) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আব্দুল হাকিমের নিজ বসতবাড়ি বোমায় গুঁড়িয়ে গেছে। পরে স্থানীয় লোকজন জখম আব্দুল হাকিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল সোমবার সকাল আটটার দিকে ধান্যঘরা গ্রামের মৃত আবু বকর ম-ল ওরফে বকর ডাকাতের ছেলে আব্দুল হাকিমের বসতঘরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়। বিস্ফোরিত বোমায় ওই ঘরের টিনের শেড উড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘরের মধ্য থেকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় হাকিমকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে। জখম আব্দুল হাকিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আব্দুল হাকিমের ভাগ্নে সুজন হোসেন (২৫) জানান, তিনি বাড়িতে সকালের খাবার খাচ্ছিলেন, এমন সময় বিকট একটি শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে বের হন। পরে মামার বাড়ির দিকে এগিয়ে এসে দেখেন, গুরুতর জখম অবস্থায় মামা আব্দুল হাকিম ঘর থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন সুজন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট এহসানুল হক তন্ময় জানান, বিস্ফোরিত বোমার আঘাতে হাকিমের ডান হাতের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্নসহ মাথা ও বাঁ পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী বা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরির বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকারসহ পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, ‘জখম আব্দুল হাকিমের নামে থানায় একটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া হাকিম বেশ কিছুদিন ধরে নিজে বোমা বানিয়ে সন্ত্রাসীদের সরবরাহ করতেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’