নিউজ ডেস্ক:
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা যায় কি না, সে জন্যই এই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি রায়ে দেখা গেছে যে জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাদের বিচারের জন্য দাবি উঠেছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম যে বিদ্যমান আইনে বিচার করা যায় না তাই সংশোধন প্রয়োজন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, গত মেয়াদে আমরা এই আইনটি সংশোধনে হাত দেই। আমরা কিছু সংশোধন করে আইন বিভাগে পাঠাই। পরে কিছু আইনগত শব্দ সংশোধন করে পাঠানো হয়, আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে। এরপর পাস করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে যে আইন করা হয়েছিল সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা মানবতাবিরোধী ব্যক্তি তাদের বিচার করার জন্য। তখন সেই আইনটাতে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য করা হয়নি। তবে ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন জামায়াতকে ‘ব্যান্ড’ (বাতিল) করা হয়েছিল। সে কারণে দাবি উঠেছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার নেপথ্যে কারা ছিলেন তাদের খুঁজে বের করতে আইন কমিশন করা প্রয়োজন বলেও মত দেন আইনমন্ত্রী। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ছিলেন, যারা জেল হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় বা এমন একটা অনুশাসনের আওতায় আনতে হবে যেন মানুষ অন্তত এ বার্তা পায় যে অন্যায় করলে বা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিচার হয়।
আনিসুল হক বলেন, যদি নেপথ্যে থাকাদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো ষড়যন্ত্র এবং সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবো না।