নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজেরও হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ। অন্যভাবে বললে, দুই টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর ওয়ানডেতেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাত্তা পাননি টাইগাররা।
সামনে এবার টি-টোয়েন্টি মিশন। আর এই তিক্ত স্মৃতি নিয়েই বৃহস্পতিবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামছে সাকিব আল হাসানের দল।
এক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য যে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে টিম বাংলাদেশ। আর এই সময় নিজের দায়িত্বটাও বুঝে গেছেন টাইগার অধিনায়ক। বুধবার ব্লমফন্টেইনে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই বললেন সাকিব। এসময় বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডারে বলেন, ‘দলকে উজ্জীবিত করাই এখন আমার মূল দায়িত্ব। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলটাকে কিভাবে মোটিভেট করা যায়। আমার পক্ষে তো কারও স্কিল ঠিক করে দেওয়া সম্ভব না। এমনকি কারও মন মানসিকতাও বদলে দেওয়া সম্ভব না।
চেষ্টা করা যেতে পারে। কোনো কথায় কাজ হয়ে গেলে সেটা ভালো। তবে এই দু’টো ম্যাচ যেন আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি এটাই আমার লক্ষ্য থাকবে।
নিজের সাধ্য মতো চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অধিনায়ক আরও বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক কঠিন আমাদের জন্য। শুধু আমাদের জন্য নয় উপমহাদশের যে কোন দলের জন্য। আমাদের যেহেতু হারানোর কিছু নেই। এটাই আমাদের একটা সুযোগ। এখন পেছনে-সামনে কোথাও তাকানোর সুযোগ নেই। কালকের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করছি। একটাই লক্ষ্য, খেলতে নামলে সবাই যেন ভাবে একটা দল হিসেবে খেলছে এবং তারা তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করবে।
অন্যদিকে, সিরিজের শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। এই সফরে আগের সিরিজগুলোর প্রতিটি ম্যাচই হাই স্কোরিং ছিল। এবারও তেমনটাই আশা করছেন সাকিব। তাই ভালো বোলিংই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে বলে বিশ্বাস বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডারের। এ ব্যাপারে তিনি বলে, ‘টি-টোয়েন্টিতে এখানে উইকেট ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। হাই স্কোরিং ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই দিক থেকে দুই দলের কোন দলের বোলিংটা ভালো হবে সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে। একই সঙ্গে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ক্ষেত্রে ফিল্ডিংটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা যদি আমরা ঠিকঠাক ভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জন্ম নেবে এবং আমরা ভালোভাবে এই দু’টো ম্যাচ শেষ করতে পারবো।