নিউজ ডেস্ক:দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিত-ার একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন গুরুতর আহত হওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এতে দুই পক্ষই দামুড়হুদা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার রেল কলোনি পানির ট্যাংক-সংলগ্ন স্থানে দর্শনা মোবারকপাড়ার মৃত রওশন আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন ও ইসলাম বাজার এলাকার মৃত চান আলীর ছেলে মজনুর মধ্যে কোনো এক বিষয়ে তর্ক শুরু হয়। এ সময় উভয়ই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলে দুজনের মধ্যে হাতাহতির ঘটনা ঘটে। পরে এ হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বাঁধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে একপক্ষে আহত হন মোবারকপাড়ার মৃত রওশন আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন, তাঁর বড় ভাই আ. রহমান ও প্রতিবেশী সামসুল ইসলাম। অপর পক্ষের আহত হন ইসলাম বাজার এলাকার মৃত চান আলীর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী আজিজ, বড় ভাই মজনু ও ছোট ভাই মহিদুল। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত হন নাজিম ও তাঁর বড় ভাই আ. রহমান এবং ইসলাম বাজার পাড়ার মজনু। উভয় পক্ষের আহত দুজনকে স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় দুইপক্ষই দামুড়হুদা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দর্শনা রেল বাজার এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে নতুন করে যাতে মারামারির ঘটনা না ঘটে, এ জন্য দর্শনা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
এ বিষয়ে মাছ ব্যবসায়ী আ. আজিজ জানান ‘আমার পিতা মৃত চান আলী একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রায়ই কারণে-অকারণে মোবারকপাড়ার নিজাম উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিমূলক কথা বলে। গতকালও আমার বড় ভাই মজনু বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশে আসছিল। এ সময় নিজাম আমার ভাইকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করলে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা বিষয়টি জানতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক কোলহ নেই। তা ছাড়া একমাত্র নিজাম বাদে তার সব ভাইয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে আমাদের।’
এ বিষয়ে অপর পক্ষের নিজাম উদ্দিনের ভাই আয়নাল হক জানান, ‘ইসলাম বাজার পাড়ার চান আলীর ছেলে আজিজ ও তার ভাই মজনুর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যাওয়ার সময় আজিজ, তার বড় ভাই মজনুসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশী সামসুল ও আমার বড় ভাই আ. রহমান ছুটে এসে ঠেকাতে গেলে তাদের ওপরেও হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ‘মারামারির ঘটনাটি আমি শুনেছি। দুইপক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’