নিউজ ডেস্ক:দর্শনায় আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কেটা পড়ে ১৯টি ছাগল ও ১টি ভেড়ার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেল স্টেশনের অদূরে দক্ষিণ চাঁদপুর শাপলা পার্ক-সংলগ্ন ছোট কুড়ের মাঠের পুলের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজন ছাগলমালিকের আনুমানিক প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ট্রেনের চালকের বিচক্ষণতায় ট্রেনটির গতি রোধ করা হলে অনেকগুলো ছাগল ও ভেড়া প্রাণে রক্ষা পায় বলে জানান স্থানীয় লোকজন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় দর্শনার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন রাখাল আকন্দবাড়িয়া ও দক্ষিণ চাঁদপুর-সংলগ্ন কুড়ের মাঠে রেললাইনের ধারে প্রায় ১০০টির অধিক ছাগল ও ভেড়া চরাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রেন বিলম্ব থাকায় বেলা পৌনে দুইটার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সৈয়দপুরগামী আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আকন্দবাড়িয়া গ্রাম অতিক্রম করে দক্ষিণ চাঁদপুর কুড়ের মাঠে প্রবেশ করার সময় লাইনের ধারে চরা ছাগল ও ভেড়ার দলটি দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করে। রাখালেরা ছাগল ও ভেড়াগুলি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও অবশেষে কাটা পড়ে ১৯টি ছাগল ও ১টি ভেড়া। এর মধ্যে আকন্দবাড়িয়া গ্রামের নুর ইসলামের সাতটি ছাগল ও একটি ভেড়া এবং রায়হানের ছয়টি, জনির তিনটি, রহিমার একটি ও কাশেমের দুটি ছাগল রয়েছে। এ সময় ট্রেনের চালক দুর্ঘটনাটি বুঝতে পেরে দ্রুত ট্রেনটির গতি রোধ করে থামিয়ে ফেলেন। এ কারণে আরও অনেকগুলো ছাগল ও ভেড়া প্রাণে রক্ষা পায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।ছাগলের মালিক নুর ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো গ্রামের বেশ কয়েকজন তাঁদের প্রায় ১০০টির বেশি ছাগল নিয়ে আকন্দবাড়িয়া রেল লাইনের ধারে চরাচ্ছিলেন। এ সময় রূপসা ট্রেনটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসে। ছাগল ও ভেড়াগুলো হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। সঙ্গে থাকা রাখালেরা ছাগলগুলোকে সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ সময় ১৯টি ছাগল ও ১টি ভেড়া ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।দর্শনা রেল স্টেশনের সংকেত বিভাগের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। যদি স্টেশনের প্লাটফর্মে কোনো ঘটনা ঘটে, সে ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে রেল লাইনে গবাদি পশু-পাখি চরানো ও অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটি একটি দুর্ঘটনা। রেল কর্তৃপক্ষের এতে কিছু করার নেই।’