নিউজ ডেস্ক:
শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তির অভাব বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা। শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে অ্যাগ্রো-প্রসেসিং খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব প্রকট আকার ধারণ করছে। এর পরেই রয়েছে তৈরি পোশাক খাত।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে দক্ষতার অভাব শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বিআইডিএস কর্তৃক প্রণীত এ প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শীদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং খাত অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অথচ এ খাতে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে দক্ষ কর্মকর্তার অভাব ৭৭ শতাংশ, আধাদক্ষ কর্মকর্তার অভাব ৭৫ শতাংশ এবং অদক্ষ শ্রমিকেরও অভাব রয়েছে।
অ্যাগ্রো-প্রসেসিং খাতের পরই রয়েছে তৈরি পোশাক খাত। বর্তমানে এ খাতে দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৯ জন। আধাদক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে ৪৮ হাজার ১৩০ জন এবং অদক্ষ শ্রমিকের অভাব ৮ হাজার ৫৭৭ জন। দেশীয় দক্ষ জনশক্তির অভাবে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বাধ্য হয়ে বিদেশিদের নিয়োগ দিতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিআইডিএসের এ গবেষণা প্রতিবেদনে মোট দশটি খাতে দক্ষতার অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামীতে দেশে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে এ ধরনের সমীক্ষা প্রতিবেদন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চলতি বাজেটেই ৫ লাখ দক্ষ কর্মকর্তা তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগামীতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের বিপুল সংখ্যক কর্মী কাজ করছেন। শুধু দক্ষতার অভাবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে আমাদের কর্মীরা অনেক কম বেতনে কাজ করছেন। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারলে কর্মীরা লাভবান হবেন, পাশাপাশি দেশে রেমিট্যান্স বাড়বে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদেক্ষপ নিচ্ছে।