নিউজ ডেস্ক:
এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহা-পরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ পুরান ঢাকা থেকে কেমিকেল সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘কারো অসতর্কতার জন্য ঢাকাকে টাইম বোমায় পরিণত হতে দিব না। পুরান ঢাকার দাহ্য কেমিক্যাল গোডাউনগুলো টাইম বোমা ছিল। চুড়িহাট্টার অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর সরকারের নির্দেশে সব কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণ করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। কেমিকেল সরিয়ে সেগুলো আপনারা সতর্কভাবে রাখবেন। অসতর্কতার জন্য ঢাকা যেন টাইম বোমায় পরিণত না হয়, এ বিষয়টি ব্যবসায়ীদের খেলায় রাখতে হবে।’
চকবাজারের চুড়িহাট্টার দুর্ঘটনায় নিহত সকলেই টাইম বোমার পাশে বসবাস করতেন উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন,‘আমরা এভাবে আর একটি মানুষেরও মৃত্যু দেখতে চাই না’।
র্যাবের ডিজি আজ শনিবার দুপুরে র্যাব-১০ এর উদ্যোগে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশী বাজারস্থ কারা কনভেনশন হলে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ঝুঁকিপুর্ণ দাহ্য পদার্থের কারখানা ও গোডাউন অপসারণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। র্যাব-১০ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণে দেড়শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে প্রায় ২ বছর সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু ‘আমাদের হাতে এত সময় নেই। আমরা চাই দু’মাসের মধ্যে এর সমাধান হোক। এজন্য ব্যবসায়ীদের প্রথাগত চিন্তার বাইরে গিয়ে সাহসীকতার সাথে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘টাস্কফোর্সের অভিযানের পর পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ক্যামিকেল সরিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন আসাসিক এলাকায় নিয়ে রেখেছেন বলে আমার কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। অভিযানের ভয়ে কেউ নিজ বাসায় আবার কেউ তার আত্মীয়ের বাসায় রাখছেন। আগে পুরান ঢাকা ছিল টাইম বোম্ব। এখন সারা ঢাকা যেন টাইম বোমায় পরিণত না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।’
মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যালের বিষয়ে র্যাব ডিজি বলেন, আপনারা টাকা দিয়ে পণ্য কিনে আনেন, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কিছু লিখিত দিতে হবে। উৎপাদনের মেয়াদ, কোম্পানির নাম, সব কিছুই। টাকা দিয়ে কেন আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস কিনবেন? মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল রাখলে সেটা মেনে নেওয়া যাবে না।’
ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবি ও অভিযানের কথা উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন,‘আমাদের কোনও ব্যবসায়ী ভাই যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখবো। অন্যায়ভাবে যেন কারও কোনও ক্ষতি না হয় সেটি নিশ্চিত করেই অভিযান চলমান থাকবে।’
পুরান ঢাকার বকশী বাজারের কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ,র্যাব-১০ এর উধর্বতন কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।