দামুড়হুদা উপজেলার বৃহত্তম ডুগডুগি পশুহাটের কারণে প্রতি সোমবার হাটের পাশে জীবননগর—চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। যানজটের জন্য হাট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। এই যানজট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছে এলাকার জনসাধারণ।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগিতে প্রতি সপ্তাহে সোমবার পশুহাট বসে। এই হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা আসেন পশু ক্রয়—বিক্রয়ের জন্য। প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত এই পশুহাট। এ কারণে হাটে আসা পশু বহনকারী ট্রাক, ট্রাক্টর, পাওয়ারট্রলি, আলমসাধু, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও ইজিবাইক যত্রতত্র পার্কিং করে। আর হাট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে বাড়ে তীব্র যানজট। কারণ তাদের উদাসীনতা এবং রাস্তা ক্লিয়ার করার পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল নেই। হাটে কয়েকজন পুলিশ থাকলেও তা যানজট নিরসনে যথেষ্ট নয়।
এদিকে প্রধান সড়কের ওপরই লাইন দিয়ে পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন খামারীরা। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে আরও যানজট সৃষ্টি হয়। সেই সাথে পশুর বর্জ্য অপসারণের নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পশুহাটের দিন যানজটের কারণে এই সড়কে আসা—যাওয়া করা খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কঠিন। হাটের দিন ডুগডুগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না।
দ্রুত যানজটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার বলে মনে করেন রাস্তায় চলাচলকারীরা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, ডুগডুগি পশুহাটে যানজট নিরসনে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি ডুগডুগি পশুহাট মালিকদের সাথে কথা বলব, হাটের দিন যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল নিয়োগ করে রাস্তা ক্লিয়ার রাখে।