মুজিবনগরে প্রথম বিভাগীয় শিক্ষক অ্যাম্বাসেডর সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
নিউজ ডেস্ক: আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পাশ হবে বলে । আইনটি পাশ হলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় কোন বাধা হবেনা বলে তিনি দাবি করেন। সাংবাদিকদের জন্য ৩২ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি যে বিষয়টি আছে সেটি বাতিল করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর মুজিবনগর অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথাগুলো বলেন।
মন্ত্রী হবার ছয় মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের গতি থ্রি-জি থেকে ফোর-জিতে রূপান্তরিত করেছি। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছে যা ইন্টারনেটের কাজে সহায়তা করবে। বর্তমান সরকার দেশকে ডিজিটাল যুগে পরিণত করতে বদ্ধ পরিকর। ডিজিটাল যুগে পরিণত করতে ইন্টারনেট অতপ্রতভাবে জড়িত। তাই আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চাই। এবারের বাজেটে ইন্টারনেটে ভ্যাট ১৫ থেকে ৫ ভাগ ভ্যাটে নামিয়ে আনা হয়েছে। শনিবার মেহেরপুরের মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম বিভাগীয় শিক্ষক অ্যাম্বাসেডর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন প্রেক্ষাপটকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আইসিটি ফর ই-শিক্ষক অ্যাম্বাসেডর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য সরকার শিক্ষাখাতে বাজেটে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। সেই লক্ষেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খায়রুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, এটুআইয়ের এডভাইজার আনীর চৌধুরী, প্লানিং স্পেশালিষ্ট অধ্যাপক ফারুখ আহমেদ, পলিসি এক্সপার্ট আফজাল হোসেন সরোয়ার, টেকনোলজি একপার্ট রফিকুল ইসলাম, সংযুক্ত কর্মকর্তা রাকিব হোসেন। সম্মেলনে এটুআই স্পেশালিষ্টদের মধ্যে বিজ্ঞানের রাজ্যে কনটেন্ট উপস্থাপনা করেন রাশাদ কবির, স্বল্প মূল্যে ব্যবহারিক বিজ্ঞান শিক্ষা কনটেন্ট উপস্থাপনা করেন সঞ্জয় বর্মন, হাতের মুঠোয় বিজ্ঞান কনটেন্ট উপস্থাপনা করেন সেফাতুল ইসলাম, বিজয় ডিজিটালের ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়ার কনটেন্ট উপস্থাপনা করেন জেসমিন জুঁই।
খুলনা বিভাগের ১৮৭ জন অ্যাম্বাসেডর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ২৭ জন ও অতিথি শিক্ষক ৪৩ জনসহ খুলনা বিভাগের আইসিটি ইন এডুকেশনে দক্ষ শিক্ষক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ। এর আগে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে যশোর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।