প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস মাননীয় প্রধান উপদেস্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষন শুনলাম।
আমাদের সেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ র দশকে চলে গিয়েছিলাম। ডক্টর ইউনূসের সাথে দিনের পর দিন আড্ডা দিয়েছি। কেমন এক মানব সম্মোহন তিনি তৈরী করতে পারতেন।তাঁর একটি চমৎকার রাজনৈতিক প্রবন্ধ আমরা ছেপেছিলাম আমাদের পত্রিকায়। “আমার দল”। ( সে সময় ডক্টর কামাল হোসেন আওয়ামীলীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল করলেন – সেই রাজনৈতিক দলের শুভারম্ভে প্রবন্ধটি, বক্তৃতাটি ডক্টর ইউনূস পড়েছিলেন বা পড়ার কথা ছিলো!) অসাধারণ সেই প্রবন্ধ বা বক্তৃতাটি। আমরা আপ্লূত উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলাম। একটি রাজনৈতিক দলের কারিকুলাম গড়ে উঠা এগিয়ে যাওয়া সফলতা কি হতে পারে তাই ছিল প্রবন্ধটির বিষয়।
আমি এমন একটি দলের দেশের স্বপ্ন আজো দেখি!!
সেই ভাষা সেই স্বপ্নই যেনো আজ আবার শুনলাম ডক্টর ইউনূস এর এই ভাষণে। দেশের এ-ই ক্রান্তিলগ্নের প্রায় প্রতিটি সেক্টরের বিরাজমান বার্নিং ইস্যুগুলোকে এড্রেস করেছেন তিনি ।
একজন সাহসী লিডার চ্যালেঞ্জ সলভারের মত দৃঢ় কন্ঠস্বর তাঁর ।
ছাত্র জনতা ব্যবসায়ী কৃষক শ্রমিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বুদ্ধি জীবি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমলা চাকুরিজীবী ধার্মিক প্রবাসী — সবার জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ পথরেখা নির্দেশ!! বুঝলে আবাদ করলে ফলবে সোনা!!
বহুদিন পর অত্যন্ত সুশীল, মার্জিত এবং প্রত্যয়দীপ্ত একটি ভাষণ, জাতি কে আশাবাদী করে তুলবে নিশ্চয়।
যদিও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জটিল। এক পুরুষের সভ্য একটা জাতি আমরা!!
লোভী স্বার্থপর প্যাচানো মগজে যদি ঢুকিয়ে নিতে পারি – সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, প্রেম ভালবাসা দোয়া স্থায়ী!!
ঐ নতুনের কেতন উড়ে ——
সর্বাত্মক শুভ কামনা প্রিয় জননী জন্মভূমির জন্য।
জয়তু প্রফেসর ডক্টর ইউনূস।লেখক : নিউইয়র্ক অ্যাডমেনিস্ট্রেটিভ স্ট্রাডিজ ইন্সটিটিউশনে কর্মরত