নিউজ ডেস্ক:
র্যানসমওয়্যার ভাইরাসের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত বিশ্বের শতাধিক দেশ। হ্যাকারদের কবল থেকে মুক্তি পেতে নাস্তানাবুদ হচ্ছে একাধিক দেশের আইটি বিশেষজ্ঞরাও। এর মধ্যেই সাইবার সুরক্ষায় বিশেষ পারদর্শীতা দেখিয়ে নজর কাড়ল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিশু।
বয়স মাত্র ১১। টেক্সাসের অস্টিনে থাকে। সেখানকারই একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে রুবেন পল। বাবা মানো পল একজন আই-টি বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি নিজের তৈরি ব্লুউ-টুথ টেডি বিয়ার নিয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ ‘দ্য সাইবার সিকিউরিটি সামিট’-এ পৌঁছে গিয়েছিল ওই কিশোর। সেখানে সকলের নজর কেড়েছে তার ব্লু-টুথ টেডি বিয়ার। খেলনাটির হ্যাকিং ক্ষমতা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
মিষ্টি একটি টেডির মধ্যেই লুকিয়ে ছিল তার কেরামতি। মঞ্চে উঠে রুবেন প্রথমেই ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে জুড়ে দেয় সেটিকে। তার পর টেডিটি একটি ব্লু-টুথ ডিভাইসের সঙ্গে জুড়ে তার মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদান চালাতে থাকে। এর পর রাসাপবেরি পাই নামে একটি পকেট কম্পিউটারের ইন্টারনেটের সঙ্গে ব্লু-টুথ টেডি বিয়ারটি জুড়ে দেয় সে।
এ বার হলঘরের সমস্ত বৈদ্যুতিক ডিভাইসকে হ্যাক করে রুবেন। দেখা যায়, ব্লু-টুথ টেডি বিয়ারটি দিয়েই সমস্ত বৈদ্যুতিক সামগ্রী দিব্যি নিয়ন্ত্রণ করছে সে। ছোট্ট রুবেনের এই আবিষ্কার চমকে দেয় উপস্থিত সমস্ত সকলকেই।
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগে মাত্র ন’বছর বয়সেই ‘ওয়েভ’ তৈরি করে সে তাক লাগিয়েছিল গ্রাউন্ড জিরো সামিটে। ২০১৪ সালে খুলেছিল নিজের একটি কোম্পানিও। তাঁর এডুকেশন্যাল গেমিং ওয়েবসাইটের নাম প্রুডেন্ট গেমস। রুবেনই সেই কোম্পানির সিইও।
রুবেন জানায়, ‘‘ভাল হ্যাকিং স্কিল হাতে অনেক শক্তি দেয়। অন্যদিকে শক্তি সব সময়ই দায়িত্ববোধ বাড়ায়। ’’ বড় হয়ে কী হতে চায় এই খুদে ‘সাইবার নিনজা’? জানা গেল রুবেনের মুখ থেকেই— ‘‘এক জন ভাল সাইবার স্পাই হতে চাই আমি। ’’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা