হাবিবুল ইসলাম হাবিব:
পর্যটন নগরী টেকনাফ পরিচিতি দেশজুড়ে। কিন্তু টেকনাফ-কক্সবাজার আরাকান সড়কের এখন এতটাই বেহাল দশা হয়েছে যে, এই সড়কে চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও টেকনাফের প্রধান সড়কসহ প্রায় সব ক’টি উপ-সড়কেরও বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দক আর বড় বড় গর্ত। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সব ধরণের গাড়ি চালক, স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে পণ্য পরিবহনে ভারী যানবাহন চলাচল/ মালবাহী বড়গাড়ি/ পর্যটকবাহী বাস চলাচল করায় সড়কের এ অবস্থা হয়েছে।
বর্তমানে সড়কের সংস্কার কাজ না চলায় যানবাহন চলাচল হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সড়কের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে মার্চের মধ্যে টেন্ডারের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র(৩) কোহিনুর আক্তার জানান,
এই পৌর সড়ক আমাদের আন্ডারে কাজ হয় না, এটি কউকের কাজ বলে জানান।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজার জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু চাকমা বলেন, আইন সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা পুনঃসংস্কার করতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজেট শেষ হয়ে গেলে ছোটখাটো কাজগুলো করা যায় না, তবে মার্চেই বাজেট হওয়ার কথা রয়েছে।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে আপনাদের কি করনীয় আছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বড় মাপের উন্নয়ন ভোগ করতে হলে দুর্ভোগের ঝুঁকি নিতেই হবে। ভুক্তভোগীদের কথা চিন্তা করে ছোটখাটো কাজগুলো আমরা করে ফেললে পরবর্তীতে টেন্ডার বাদ যাবে বলে জানান।