জিয়াবুল হক, টেকনাফ: টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নারীসহ ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এ সময় আবদুর রহমান (২৫) নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে। সে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়ার ফজলুল হকের ছেলে।
৩০ নভেম্বর শুক্রবার গভীর রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর মাঝারপাড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন নারীও রয়েছেন। তারা সবাই গত বছরের আগস্টের পরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণ বাচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আটককৃত রোহিঙ্গারা হচ্ছে, মো. জিয়া, রশিদ উল্লাহ, নুর আলম, মো. জাবের, মো. মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতারা, জোলেখা, রোজিনা, সলিকা। তারা সবাই উখিয়া, কুতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গাশিবিরের বাসিন্দা।
কক্সবাজার র্যাব-৭ এর ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান জানান, ৩০ নভেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আবদুর রহমানের বাড়িতে ওইসব রোহিঙ্গা জড়ো করে রাখা হয়েছে, এমন গোপন সংবাদের খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দালাল বাড়ির মালিক আবদুর রহমানকে আটক করা হয়।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মেজর মেহেদী আরও বলেন, এক দিন আগে প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে আসেন এবং গভীর সাগরে একটি বড় ট্রলারে তাদের তুলে দেওয়া কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর আরও দুই লাখ টাকা করে দেওয়া কথা ছিল। এ সময় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে মামলা রুজু করে তাদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।