নিউজ ডেস্ক: প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হার থমকে দিয়েছিল গোটা জাতিকে। পরে ওমান আর পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হওয়ায় সে স্থবিরতা কেটে জেগেছিল নতুন আশা। মনে হচ্ছিল এবার হয়তো কিছু একটা হবে। সেই ২০০৭ সালের পর থেকে ‘সোনার হরিণ’ হয়ে পড়া জয়ের দেখা হয়তো এবার মিলবে।
কিন্তু হায়! তা আর মিললো কই? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রানের লড়ার মত পুঁজি গড়ে সম্ভাবনা তৈরি করেও না পারার আগুনে পোড়া। ইংল্যান্ডের সামনে একদমই দাঁড়াতে না পারা। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৩ রানে বেঁধে ফেলেও জিততে না পারা। ৩ রানের পরাজয় হয়েছে সঙ্গী।
২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৮৪ রানে অলআউট হয়ে ৬ উইকেটে হার মানা। মানে সেই আগের মতোই। জয়ের দেখা মেলেনি এখনো। মূল পর্বে জয় এখনো ‘সোনার হরিণ’ হয়েই আছে।
দল খারাপ খেলছে। একেবারে যাকে বলে শ্রী-হীন, হতচ্ছিরি অবস্থা। ব্যক্তিগত পারফরমেন্সেও নেই কোন দ্যুতি। পারফরমেন্সের গ্রাফ নামতে নামতে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থকদের মন খারাপ।
সবারই খুব খারাপ লাগছে এবং দীর্ঘ ১৪ বছরের সেই না পাওয়ার কষ্ট, বেদনা, যন্ত্রনা রীতিমত ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। হতাশা, দুঃখ, কষ্ট ও যন্ত্রনা থেকেই হচ্ছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। যার যা খুশি বলছি, লিখছি কিংবা এর ওর ওয়ালে গিয়ে কমেন্ট দিচ্ছি।
যাতে ক্ষোভের প্রকাশটাই বেশি। কখনো কখনো তা শালীনতা ও ভব্যতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেট দেশ ও জাতির ভালবাসার প্রতীক। জাতির আশা আকাঙ্খার আশ্রয়স্থল এবং বাংলাদেশের ঐক্য ও সম্প্রীতিরও প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্রিকেটাররা হলেন দেশের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।’ তাদের পারফরমেন্সের সমালোচনা করতে গিয়ে সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে কি না? তা দেখার দায়িত্ব-কর্তব্য আমাদের সবার।