সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের উত্তর নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ডাকবাংলা বাজার পর্যন্ত সড়ক এবং ত্রিমহনী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার গোপালপুর সড়কের আ. রহিম মুন্সির রাইচ মিল পর্যন্ত। টানা বর্ষণের ফলে দুই দিকে দুই কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে। এর ফলে এ রাস্তা চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, দুই দিকে দুই কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে। অনেক জায়গায় সড়কের পিচ উঠে মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দের মধ্যেই চলছে যানবাহন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝিনাইদহ সদর পশ্চিমের সবচেয়ে বড় হাট ডাকবাংলা বাজার এবং ধান-চালের ব্যবসা উত্তর নারায়ণপুর হওয়াতে আশেপাশের মানুষের কাছে এ বাজারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকায় যাওয়ায় অন্যতম প্রধান সড়ক এই ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের ডাকবাংলার সড়ক। ফলে চাকরিজীবী থেকে শুরু করে স্কুলগামী সবাই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতিদিন এ সড়কে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াসহ প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কোনো কাজে আসেনি।
উত্তর নারায়ণপুর মডেল দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনা হয় এ সড়কে। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।’
উত্তর নারায়ণপুরের আ.মান্নান বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন, সামসুল, মিলন, কবির বলেন, উত্তর নারায়ণপুর ত্রিমহনী থেকে ডাকবাংলা বাজার পর্যন্ত মনে হয় এতো খারাপ রাস্তা আর কোথাও নেই। সরকার যদি এ রাস্তাটি সংস্কার করতে না পারে তাহলে তারা যেন নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘আমি এ রাস্তা সম্পের্কে অবগত ছিলাম না। সুতরাং রাস্তার যদি এমন অবস্থা হয়। তাহলে খুব দ্রুত সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে কাজ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।’