স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
জমিজমা সংক্রান্তে বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে হারুন খা নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সে সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়া গ্রামের মৃত জলিল খার ছেলে। এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়ায় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে চাচাতো ভাই আকমলের সঙ্গে হারুনের বিরোধ চলে আসছিল।
গত রবিবার বিকেলে চাচাতো ভাই আকমল কবরস্থানে ফলজ বনজ গাছের চারা রোপণ করছিলেন। ওই সময় হারুন খাঁ বাধা দিলে দুুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে চাচাতো ভাই আকমল খা হারুনকে বাশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুুুর মেডিকেলে রেফার্ড করে। সেখানে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোমবার বিকেলে মারা যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক। সেসময় সামাজিক প্রতিপক্ষ নান্নু মন্ডল, সাহেব আলী ও আমিরুল ইসলাম ছাড়পত্রের কাগজ আটকে রেখে আমার স্বামীকে ১২ ঘন্টা চিকিৎসা নিতে দেয়নি। এমনকি আমাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে দেওয়া হয়নি।
এ কারণে আমার স্বামীর সময়মত চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি মারা যান এছাড়াও তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক প্রতিপক্ষরা নিরিহ মানুষকে ফাঁসাতে নোংরা রাজনীতি করার চক্রান্ত করেছে। হত্যার ঘটনায় নিহত হারুন খাঁর স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে আকমল হোসেনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত চাচাতো ভাই আকমল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তবে হত্যার ঘটনায় কোন নোংরা রাজনীতি করার সুযোগ নেই।