ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ ঝিনাইদহের গোয়ালপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতাকে সভাপতি বানানো হয়নি বলে বুধবার স্কুলে শিক্ষার্থীদের আসতে দেয়নি। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুস্তাক আহম্মেদ স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ডেকে আনেন। তারপরও ক্লাস টাইম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সবাই স্কুলে উপস্থিত হতে পারেনি। অভিযোগ পাওয়া গেছে সদরের পোড়াহাটী ইউনিয়নের মেম্বর ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম আযম স্কুলের সভাপতি হতে চান। বুধবার তিনি সকালে স্কুলে গিয়ে ১৯১ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে প্রবেশ করতে দেয়নি। এক প্রকার স্কুল বন্ধ করে তিনি জোর করে স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আরবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে না দেওয়ার কারণে তিনি দ্রুত বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুস্তাক আহম্মেদ ও সাবক্লাস্টারের দায়িত্বরত এটিইও হামিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ঘোড়ামারা গ্রামের আতর আলী মন্ডলের ছেলে গোলাম আযম মেম্বরের বাড়ি পোড়াহাটী ইউনিয়নে হলেও দোগাছি ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে জোর করে সভাপতি হতে চান। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে। এই কোন্দলের কারণে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন হচ্ছে না। গোলাম আযম মেম্বর স্কুল বন্ধের কথা অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের শিক্ষকরা কমিটি গঠন নিয়ে গ্রুপিং করছে। গ্রপিং জিইয়ে রেখে তারা ইচ্ছামতো স্কুল চালাচ্ছে। এতে শিক্ষার মান কমছে। সেই কারণে তিনি বুধবার স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি কোন শিক্ষার্থীকে আসতে নিষেধ করেন নি বলেও দাবী করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুস্তাক আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি আযম মেম্বরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন ভবিষ্যতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের আসতে বাধা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।