ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ চাঁদা দাবি করায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ রয়েছে। চাঁদা না দেওযায় কাজে বাধা পেয়ে সংশি¬ষ্ট ঠিকাদার নির্মাণ সরঞ্জাম সড়কে ফেলে রেখেই চলে গেছে। না চাঁদা দিয়ে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্নিষ্ট ঠিকাদার। এতে সড়কের ইট নিচ্ছে চোররা। ঠিকাদারের সাফ কথা, তারা চাঁদা দিয়ে কাজ করবে না। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ষাটবাড়িয়া-পারখিদ্দা সড়ক নির্মাণের কাজ। সড়কটি অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন মহাদুর্ভোগে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ষাটবাড়িয়া গয়েশপুর-পারখিদ্দা সড়ক উন্নয়ন কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে পায় নিশিত বসু নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মাস খানেক কাজ করার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা কবিরুল ইসলাম নান্নু ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেওয়ায় ২০ মে সকালে স্থানীয়দের সামনেই ওই কাজের ম্যানেজার মোস্তাক আহম্মেদকে মারধর করে। এ ঘটনার পর থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার রাশেদ মিয়া। ঠিকাদার রাশেদ অভিযোগ করেন, কাজ শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন সময় মেম্বর নান্নু আমার কাছে ফোনে এবং মোটর সাইকেল ঠেকিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তিনি বলেন, ১৭ মে ওই সাইটে কাজ করে ফেরার সময় ষাটবাড়িয়া তহ বাজারে আমার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে নান্নু বলেন, আপনি চাঁদা না দিয়ে কাজ করছেন। আপনার কিন্তু বিপদ আছে। আপনার কাজ কিন্তু বন্ধ করে দিব। এ ঘটনার ৩ দিন পর আমার ম্যানেজারকে মারধর করে। মারধরে আহত ম্যানেজার মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ২০ তারিখ সকালে আমি সাইটে কাজ দেখভাল করছিলাম। এসময় মেম্বর নান্নু, ষাটবাড়িয়া গ্রামের মালেক জোয়ার্দ্দারের ছেলে শাহিনসহ কয়েকজন এসে আমাকে ঠিকাদারের কথা জিজ্ঞাসা করে। আমি ম্যানেজার পরিচয় দেওয়ার পর তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় তারা আমাকে হত্যার হুমকিও দেয়। জীবনের ভয়ে এখন আমি ওই সাইটে যেতে পারছি না। এলাকার সাধারণ মানুষ ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় আমি কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। ষাটবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধ খাতের আলি মোল¬া বলেন, আমি শুনেছি ম্যানেজারকে মারধর করা হয়েছে। এই জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কবিরুল ইসলাম নান্নু চাঁদার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি ম্যানেজারকে একটি থাপ্পড় মেরেছিলাম। চাঁদা চাওয়ার কোন কথা হয়নি।